নয়াদিল্লি : পুনরায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন সনিয়া গান্ধী। এদিন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে ওই পদের জন্য সনিয়ার নাম প্রস্তাব করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাতেই সিলমোহর দেয় দল। এনিয়ে বৈঠক শেষে খাড়গে বলেন, "উনি কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হওয়াই ভাল হয়েছে। উনি আমাদের গাইড করবেন।"


এদিন দিল্লির সংসদের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে যোগ দেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন কার্তি চিদম্বরম, রাজীব শুক্লা, রণদীপ সূরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি ও শশী তরুর-সহ অন্যরা।  


কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, 'CPP সর্বসম্মতভাবে সনিয়া গান্ধীকে CPP-র চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করেছে। এবার CPP-র চেয়ারপার্সনকে লোকসভার দলনেতা নির্বাচন করতে হবে।' এদিকে নরেন্দ্র মোদির পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাইনি। আমরা কোনও আমন্ত্রণও পাইনি। বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল এবং I.N.D.I.A ব্লকের নেতৃত্ব হওয়ায়, আমাদের জানানো হয়নি। জানি না, সরকারের কী মেজাজ।'


 






এদিকে এদিনই রাহুল গাঁধীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব পাস করা হয়। এরপরই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে  ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর দাবি জানান, '১১ হাজার কিলোমিটার ঘুরে বেরিয়েছেন, মানুষের কথা শুনেছেন। তাই রাহুলকেই বিরোধী দলনেতা করা উচিত।'


ভোটের প্রচারে রাহুল গান্ধীর চেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। সেখানে বলা হয়েছে, 'প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যেভাবে ভারত জোড়ো যাত্রা ও ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার নকশা করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে তাঁকে প্রশংসা করতে হয়। উভয় যাত্রাতেই তাঁর যে চিন্তাধারা এবং ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে তা জাতীয় রাজনীতিতে ঐতিহাসিক মোড় বদলে দেওয়ার মতো , আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী এবং ভোটারের মধ্যে আশার আলো ও আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে। রাহুল গান্ধীর ভোট-প্রচার ছিল একার মস্তিষ্ক, তীক্ষ্ণ এবং নির্দিষ্ট এবং তিনি একাই ২০২৪ সালের ভোটে সংবিধানের সুরক্ষাকে মূল বিষয় করে তুলেছেন। তাঁর যাত্রায় রাহুল মানুষের ভয়ভীতির কথা, উদ্বেগ ও আশা-আকাঙ্খার কথা শুনেছেন। মূলত যুবক, মহিলা, কৃষক, শ্রমিক, দলিত, আদিবাসী, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।