কুলতলি : পঞ্চায়েত ভোটের আর তিন দিন। অব্যাহত লাগামছাড়া হিংসা। এবার কুলতলিতে তৃণমূল প্রার্থীকে (Kultali TMC Candidate) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, গুলি ডান হাঁটুর ওপরের অংশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনায় অভিযোগের তির বামেদের দিকে।


বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী খুনের পর, সোমবার ক্যানিংয়ে (Canning) বসে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। তিনি দ্ব্যর্তহীন ভাষায় বলেছিলেন, "মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা বন্ধ করতেই হবে। আমি আবার বলছি, মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা বন্ধ করতেই হবে।"  কিন্তু, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, সেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Paragana) কুলতলিতে শ্যুটআউট!


কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কুতুবউদ্দিন ঘরামি। তাঁর অভিযোগ, গতকাল রাতে ভোট প্রচার সেরে ফেরার পথে, সিপিএম ও এসইউসি কর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। সকালে এলাকায় গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশও চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ।


ভোটের আগে রাজ্যে বেলাগাম সন্ত্রাস। ২৪ দিনে ইতিমধ্যেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের অধিকাংশ জেলার মতোই একের পর এক হিংসার ঘটনার খবর সামনে আসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে।


কুলতলির পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় কুলপিতেও। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি। হেলিয়াগাছিতে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট, খালি সোডার বোতলও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।


হটুগঞ্জ বাজারেও আইএসএফ কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান মন্দিরবাজারের এসডিপিও ও কুলপি থানার ওসি। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন আইএসএফ সমর্থক জখম হয়েছেন।


আরও পড়ুন ; সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে কোন অনুপাতে ব্যবহার ? খতিয়ে দেখতে নির্দেশ হাইকোর্টের


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial