কলকাতা: সুপ্রিম শুনানির দিনেই শাসকদল ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) জোর নিশানা  এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সরব অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Gangopadhyay)। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে ১৬ জুলাই পর্যন্ত যোগ্য-অযোগ্য সবার চাকরি বহাল। অযোগ্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও বহাল। এখনই চাকরি যাচ্ছে না ২০১৬-র এসএসসির প্রায় ২৬ হাজারের। হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ।  এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন,  'চাকরি বাতিলের শুনানিতে চোরের দল এবং মিথ্যেবাদী-মিথ্যাচারী মহিলা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উকিলরা সুপ্রিম কোর্টে একটা উত্তরও দিতে পারেনি।' 


মূলত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি পদে কর্মরত থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর।বাবার ক্ষমতা খাটিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পরেশ কন্যার বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেসময় অঙ্কিতাকে যাবতীয় বেতন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর অঙ্কিতার চাকরি যাওয়ার পর, আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ববিতা সরকারকে। এবং পরেশ কন্যার বেতনও পেয়েছিলেন ববিতা। যদিও তাও দীর্ঘতর হয়নি। এদিকে তাঁর একাধিক নির্দেশের পর চাপ বেড়েছিল শাসকদলের অন্দরে। এদিকে একের পর এক ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার পর , লোকসভা ভোটের বছরে, মার্চ মাসেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 


এদিকে লোকসভা ভোটের মাঝেই সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের খবরে কার্যত চাপের মুখে পড়ে যায় রাজ্য। এদিকে তৃতীয় দফা ভোটের দিনেই সবাই 'সুপ্রিম' নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল। তবে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ পড়েছে। এখনই চাকরি যাচ্ছে না ২০১৬-র এসএসসির প্রায় ২৬ হাজারের। 'এসএসসি যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়। পুরো প্যানেল বাতিল হলে, তার অভিঘাত অস্বীকার করতে পারে না আদালত', সংক্ষিপ্ত রায়ে এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।


আরও পড়ুন, BJP-র এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ, ভোট শেষেও উত্তপ্ত জঙ্গিপুর


এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে অন্তবর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, কলকাতা হাইকোর্টের যে রায় বা নির্দেশ ছিল, তাঁর কোন কোন অংশের উপর এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে । সেখানে প্রথমত বলা হচ্ছে যে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যেখানে বলা হয়েছিল, ২৫ হাজার ৭৫৩ জন, যারা চাকরি করছিলেন এই মুহূর্ত পর্যন্ত, তাঁদের চাকরি বাতিল করা হল, সেই অংশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, যেটা ১৬ জুলাই অবধি বহাল থাকবে। অর্থাৎ এখনই কাউকে চাকরি হারাতে হচ্ছে না। বা কারও চাকরি এখনই চলে যাচ্ছে, এরকমটা মনে করার কোনও কারণ নেই।