পুরুলিয়া, বাঁকুড়া: বিধানসভা ভোটের প্রথম দফাতেই উপেক্ষিত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ! ভোট চলাকালীনই জঙ্গলমহলের একাধিক বুথে ঢুকল পুলিশ। ভোট তদারকিও করতে দেখা গেল পুলিশ কর্মীদের। সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচার হতেই তৎপর হল নির্বাচন কমিশন।

 

বুথের ভিতরে রাজ্য পুলিশ। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

জঙ্গলমহলের একাধিক ভোটকেন্দ্রে দেখা গেল এই ছবি!

ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশকে এবার বুথে ঢোকার ‘গেট পাস’ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাস্তবে কার্যত উপেক্ষিত হল কমিশনের সেই নির্দেশ!

ভোটপর্ব চলাকালীন তালডাংড়ার ভুতশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের বুথে ঢুকে পড়েন সিমলাপাল থানার এএসআই! কিন্তু কেন বুথে ঢোকার প্রয়োজন হল পুলিশের?

তালডাংরার ২৫৪ নং বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানান,  প্রতি ঘণ্টায় পুলিশ হিসেব নিচ্ছিলেন ভোটের, সে জন্য এসেছিলেন।

কিন্তু কমিশনের নির্দেশ কি এরকম ছিল?

গত দোসরা এপ্রিল অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার বলেন, বুথের বাইরে একজন লাঠিধারী পুলিশ কনস্টেবল থাকবেন, যিনি শুধুমাত্র ভোটারদের লাইন ঠিক করবেন। বাহিনীর সঙ্গে ভাষাগত সমস্যা হলে দেখবেন।

তাহলে কেন বুথের মধ্যে পুলিশকে ঢুকতে দিলেন প্রিসাইডিং অফিসার?

তালডাংরার ২৫৪ নং বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, কমিশনের নির্দেশ তাঁর জানা ছিল না।

একই ছবি দেখা গেছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও!

পাঁচুডাঙা স্কুলে ৮ টি বুথের মধ্যে ছটির ক্ষেত্রেই ভিতরে ঢোকেন এক এএসআই ও ৫ এনভিএফ কর্মী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তখন বুথের বাইরে বাইক দেখভালে ব্যস্ত!

সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়ার পর ওই পুলিশ ও এনভিএফ  কর্মীদের বুথ থেকে সরিয়ে দেয় কমিশন। জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে তারা।

একই ছবি ছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রের বেলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে। অবাধ গতিবিধি ছিল ২ পুলিশ কনস্টেবলের!