পূর্ব মেদিনীপুর: ডিসেম্বরের পর জুন। বাংলার রাজনীতিতে ফের ফিরল 'ডেডলাইন'। বুধবার পটাশপুরের সভা থেকে এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারকে ৩ মাসের 'ডেডলাইন' দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 


কী বলেছেন শুভেন্দু:
এদিন সভায় বক্তব্য় রাখতে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, '৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির আসন ১৮ থেকে ৩৬ করব।' বিরোধী দলনেতার দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মানুষ নেই। পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করাই বিজেপির অঙ্গীকার।'


হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতাও:
গতকাল মালবাজারের জনসভা থেকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, '১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। সব বন্ধ করলেও মুখ বন্ধ করতে পারবে না। বিজেপির আয়ু আর মাত্র ৬ মাস। আগামীবছর লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে ধুয়ে যাবে বিজেপি।'


কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া নিয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক। সেই নিয়ে এদিন মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'আমরা টাকা আটকাইনি, চুরি আটকেছি। মানুষকে প্রকল্পের টাকা না দিয়ে টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চায়ের দোকান, সাইকেলের দোকান ছিল সেই সুশান্ত এখন ২০০ কোটি টাকার মালিক। আবাস থেকে শৌচালয়ের টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল আমলে সর্বস্তরে দুর্নীতি। আর বেশি দিন বাকি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের।'


পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বারবার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ দিতে পারেনি বলে কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে মানুষকে।' চিটফান্ড কেলেঙ্কারি থেকে মাধ্য়মিক স্তরের পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়া, সব বিষয় নিয়েই রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'সারদা, অ্যালকেমিস্ট, আইকোরে, পিনকনে কতজনের টাকা গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৪ লক্ষ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রী কমেছে, উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রী কমেছে। ৫০০ টাকা তৃণমূলের নয় সরকারের টাকা। একজনের টাকা বন্ধ হলে আমি গ্যারান্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সুদে-আসলে টাকা আদায় করার দায়িত্ব আমার। বাংলায় সরকারের পরিবর্তন হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাইরে থাকা লোককে বাড়িতে ফেরাব। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্যের টাকা দেওয়া হচ্ছে মিড মে মিলের টাকা থেকে।'


৫০০ টাকার বদলে, ২০০০ টাকার আশ্বাস শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর দাবি, 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোনও ভাগাভাগি থাকবে না, সবাই ২০০০ টাকা করে পাবে।'


তৃণমূলের দাবি:
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'বদ্ধ উন্মাদ। কিছুদিন অন্তর অন্তর একটা করে তারিখ দেয়। সেই তারিখ পেরিয়ে গেলে তার আর কেউ খোঁজ নেয় না। উনি গলাবাজি করে নিজের দোষ ঢাকেন।' উন্নয়নের উপর দাঁড়িয়ে নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল,তাই তৃণমূলের ভোট, জন সমর্থন আরও বাড়বে বলে দাবি কুণালের।


আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব