য়েকলকাতা: এমন ভোট তামিলনাড়ু আগে দেখেনি। পেরিয়ার, আন্নাদুরাই, এম জি রামচন্দ্রন চলে যাওয়ার পর তামিলনাড়ুর রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে দু’জনকে ঘিরেই। একদিকে কলাইনার মুথুভেল করুণানিধি, অন্যদিকে পুরতিথালাইভি জে জয়ললিতা। যাঁদের রাজনৈতিক শত্রুতা সিনেমাকেও হার মানায়। কিন্তু এই প্রথম বহু দশক বাদে তামিলনাড়ুতে ভোট হচ্ছে করুণানিধি এবং জয়ললিতাকে ছাড়াই। লড়াইটা করুণানিধির ছোট ছেলে স্টালিন ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে জয়ললিতার দুই প্রধান শিষ্য ইপিএস ও ওপিএসের। প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ের রয়েছে বিখ্যাত অভিনেতা কমল হাসানের দলও। যদিও ভোটের শেষ মুহর্তে রাজনৈতিক দল তৈরি করা থেকে পিছিয়ে এসেছেন রজনীকান্ত। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তাঁর ভক্তরা রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁকে রাজনীতিতে নামার জন্য চাপ দিতে।
সি ভোটারের সমীক্ষা কী বলছে?
২৩৪ আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ুতে এবার ক্ষমতায় আসতে পারে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। জয়ললিতার অবর্তমানে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে বিজেপির বন্ধু দল এআইএডিএমকে। সমীক্ষায় ইঙ্গিত স্টালিন ও রাহুলের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ১৫৮ থেকে ১৬৬ টি আসন পেতে পারে।অন্যদিকে এআইডিএমকে নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৬০ থেকে ৬৮টি আসন। কমল হাসানের দল MNM সর্বোচ্চ পেতে পারে ৪টি আসন। AMMK পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। অন্যান্যর ঝুলিতে যেতে পারে সর্বোচ্চ ৪টি আসন। সি ভোটারের সমীক্ষায় ইঙ্গিত ডিএমকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট। এআইএডিএমকের নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ২৯ শতাংশ ভোট। কমল হাসানের দল MNM পেতে পারে ৭ শতাংশ ভোট। AMMK পেতে পারে ৮ শতাংশ ভোট। অন্যান্য পেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী পদে জনপ্রিয়তার নিরিখে সবথেকে এগিয়ে করুণানিধি পুত্র তথা ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন। ২ নম্বরে রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামী। তারপরই রয়েছেন জয়ললিতার আর কে শিষ্য পনিরসিলভম। এরপর রয়েছেন একদা জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বিতর্কিত শশীকলা। তার পিছনে রয়েছেন থালাইভা রজনীকান্ত। এরপর কমল হাসান।