প্রকাশ সিনহা,কলকাতা: বেআইনি কয়লা কারবারের তদন্তে ক্রমশ গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই। এই প্রথম কোনও IPS অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার নিজাম প্যালেসে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ চন্দননগরের ডেপুটি কমিশনার তথাগত বসুকে। যিনি একসময় হুগলির পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি,আসানসোলের কোলিয়ারি বেল্ট থেকে কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় কয়লা পাচারের মাধ্যম হুগলি জেলা। এই জেলার উপর দিয়েই কয়লা বোঝাই গাড়ি চলাচল করে। আর এতেই পুলিশের সঙ্গে কয়লাপাচারকারীদের যোগসাজশ গড়ে ওঠে। মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে বেআইনি কারবারে মদত দিয়েছে পুলিশ। CBI সূত্রে খরর, মূলত পুলিশ সুপার পদে থাকার সময় কয়লাকাণ্ডে তথাগত বসুর ভূমিকা জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, কয়লা পাচার হচ্ছে জেনেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? দিন কয়েক আগেই কয়লা পাচার-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১২টিরও বেশি জায়গায় একযোগে হানা দেয় ইডি। লেকটাউন, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলে তল্লাশি।
তাহলে কি অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় কয়লা বোঝাই ট্রাক? অন্যদিকে গরু পাচারকাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্রকে ফের নোটিস পাঠাল সিবিআই। বুধবার যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এই নিয়ে তৃতীয়বার নোটিস পাঠানো হল তাঁকে।এর আগে বিনয়ের একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কিন্তু কোনওবারই তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে যেত। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্য থেকে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।