কলকাতা: ভোট পরবর্তী অশান্তি বন্ধে রাজ্যের ভূমিকায় খুশি হাইকোর্ট। সোমবার রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে হাইকোর্ট জানায়, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পরে হিংসা বন্ধে রাজ্যের ভূমিকা প্রশংসনীয়। সবাইকে একসঙ্গে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।’


সম্প্রতি আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ভোট পরবর্তী যে অশান্তি হচ্ছে তাতে পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয়। অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রত্যেকের নিরাপত্তা এবং যাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।


সেই মামলার পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। রাজ্যজুড়ে কত সন্ত্রাস, কত অশান্তি, কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে এবং পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে। স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে হলফনামা আকারে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ। আজ দুপুর দুটোয় রাজ্যের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ৭, ৮ মে-র পরে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।


শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ‘কার দোষ, সেটা পরে দেখা যাবে, সমান দায়ী কেন্দ্র ও রাজ্য।’ পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রের আর্জি খারিজ আদালত জানায়, 'ভোট-পরবর্তী হিংসা বন্ধে নিষ্ক্রিয় রাজ্য পুলিশ, তবে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই হিংসা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন'।


রাজ্যে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয় রাজনীতির অন্দরে। কোথাও মারধর, কোথাও আবার খুনের অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুর। কোথাও আক্রান্ত তৃণমূল। রিসর্টে আগুন। কর্মীদের ওপর হামলা। মাকে মারধরের মতো একাধিক ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার মধ্যে বেশিরভাগই ভুয়ো বলে বিবেচিত হয়েছে পরে। তবে তৃতীয়বার পদে আসার পরও বারবার মুখ্যমন্ত্রী শান্তির বার্তা দিয়েছেন। সতর্ক করেছেন ভুয়ো ভিডিও নিয়েও। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সরেজমিনে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি দল।