কলকাতা: কোভ্যাকসিনের পর আজ রাজ্যে আসছে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড। 


এর মধ্যে সাড়ে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সরাসরি কিনেছে রাজ্য সরকার। বাকি ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড কেন্দ্র পাঠাচ্ছে। 


আজই এয়ার এশিয়ার বিমানে কলকাতায় পৌঁছবে এই ভ্যাকসিন। গতকালই এসেছে রাজ্যের কেনা ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। 


সম্প্রতি রাজ্য সরকার ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার কোভ্যাকসিন এবং ১৪ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ডের বরাত দেয়। 


৫ মে রাজ্যে এসেছে কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড মিলিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো ৫ লক্ষ ভ্যাকসিন।  এর মধ্যে ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন ও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এই পাঁচ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে। গতমাসে রাজ্যে আসে ৪ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ।


তবে, ভ্যাকসিন এলেও, রাজ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কট অব্যাহত। কলকাতা থেকে জেলা -- ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে মানুষকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও বলেন, কেন্দ্রের কাছে যত ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে, সেই তুলনায় এসেছে অনেক কম। 


দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় মেয়রের ক্লিনিকের সামনে সকাল থেকে ভ্যাকসিনের জন্য লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়। 


পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও ভ্যাকসিন-হয়রানির ছবি। হাসপাতালে ঝুলছে নো ভ্যাকসিন নোটিস। অভিযোগ, কুপন থাকলেও মিলছে না ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। জোগান কম থাকায় এই হয়রানি স্বীকার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


হুগলির শ্রীরামপুর পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন-হয়রানির ছবি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ ২০০ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। ফলে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।


দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে এসে চূড়ান্ত হয়রানি হতে হয় মানুষকে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে গেছেন অনেকে। হাসপাতালের তরফে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নো ভ্যাকসিন বোর্ড।