কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে (State Election Commissioner) তলব রাজ্যপালের (Governor)। আজও রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে গেলেন না রাজীব সিন্হা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনের পর কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার না যাওয়ায় এবার সেই রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্যপাল।
সংঘাত অব্যাহত: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে, রক্তবিন্দু ঝরার জন্য় রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছিলেন রাজ্য়পাল। তবে, এ বিষয়ে নিরুত্তর থেকলেন রাজীব সিনহা। বললেন, কী বলব আমি, কিছু বলার নেই।
শোনা গিয়েছিল এর আগেও রাজীব সিনহাকে তলব করে রাজ্যপাল। তবে এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেনি রাজভবন। রাজীব সিন্হা নিজেই সময় চেয়েছিলেন রাজ্যপালের, দাবি সি ভি আনন্দ বোসের।আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমি জানি তিনি ব্যস্ত আছেন ভোটের কাজে। যখন সময় পাবেন, তখনই আসতে পারেন। ভোট সংক্রান্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার আছে। মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এর আগে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে যাননি রাজীব সিন্হা।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে সন্ত্রাসের আবহে গত ১৯ দিনে রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র কোচবিহারেই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত ক্যানিং ও ভাঙড়ের পর এবার কোচবিহারে রাজ্যপাল। সাতসকালে সি ভি আনন্দ বোসের কাছে নালিশ জানাতে হাজির হন বাম-বিজেপি-কংগ্রেস প্রার্থীরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও। এরপর রাজনৈতিক সংঘর্ষে জখম বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতি কৃষ্ণ রবিদাসকে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। পথে দিনহাটা হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যপাল কথা বলার জন্য গাড়ি থামালেও, পুলিশের বাধায় তাঁরা কথা বলতে পারেননি।
গতকাল কোচবিহারে পৌঁছেই ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানানো যাবে বলে জানান রাজ্যপাল। এদিন নিহত বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায় বাসুনিয়া ও বিজেপি প্রার্থীর দেওর নিহত শম্ভু দাসের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল।