হাওড়া: রাত পেরোলেই তৃণমূলের জনগর্জন সভা ব্রিগেডে (TMC Jonogorjon Sabha)। রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাওড়ায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। সালকিয়ার দুটি অনুষ্ঠান বাড়িতে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেনুতে রয়েছে ডিমের ঝোল-ভাত। রান্নায় হাত লাগিয়েছেন তৃণমূলের উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী (TMC MLA Goutam Chowdhury)।
মালদা এবং মুর্শিদাবাদ থেকে যে তৃণমূল সমর্থকরা আসছেন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সমর্থক এসে পৌঁছে গেছেন। আজ সারাদিন-সারারাত দুই জেলা থেকে আসবেন সমর্থকরা। তাঁদের সবারই থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। তদারকিতে রয়েছেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।
কাল ব্রিগেডে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। তার আগে আজ সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম তৃণমূলের ব্রিগেডের সভায় থাকছে র্যাম্প। মঞ্চ থেকে সোজা জনতার মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূলের সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরের দিন,হাইভোল্টেজ রবিবার, ব্রিগেডে তৃণমূলের মেগা-সভা। শনিবার, ব্রিগেডে এসে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপির আধুনিক জমিদাররা, দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে যাওয়া হিসেবের মুখোমুখি হবে। তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভাকে কটাক্ষ করে, প্যারোডি বেঁধেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। জনসংযোগে নতুন চমক রয়েছে তৃণমূলের 'জনগর্জনে'। এই প্রথম তৃণমূলের ব্রিগেডের সভায় থাকছে র্যাম্প। মঞ্চ থেকে সোজা জনতার মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা।
আরও পড়ুন, মোদির সভা শেষে অন্য মুডে, রাস্তায় ফুচকা খেলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
ব্রিগেডের জনগর্জন সমাবেশে মোট ৩টি মঞ্চ।মূল মঞ্চের পাশে থাকছে আরও ২টি মঞ্চ।মূল মঞ্চের সঙ্গে তৈরি হয়েছে ৩২০ ফুট লম্বা র্যাম্প।এর ডান ও বাঁ দিকে আরও দু-টি ছোট র্যাম্প থাকছে।বক্তব্য রাখার সময় হাঁটতে হাঁটতে ভিড়ের মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা। মূল মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে LED স্ক্রিন। এর পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে লেখা থাকবে, 'জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন'। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ-সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তৃণমূলকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।