সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নির্বাচনী হলফনামায় (Election Affidavit) সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শেখ শাহজাহান। এই অভিযোগে সরব হলেন শুভেনদু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্য়ুইট করে তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃৃণমূল প্রার্থী।


কী অভিযোগ?
পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। বার্ষিক আয় ১৯ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। এবংস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৫ কোটি টাকার। নির্বাচন কমিশনে এই হলফনামা দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শেখ শাহজাহান। এই দাবি করে, ট্যুইট করেছে শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। এনিয়ে তদন্তও দাবি করেছেন শুভেন্দু। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ শাহজাহান আদাপুর সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর হলফনামা ট্য়ুইট করে তৃণমূল প্রার্থীর আয় ও সম্পত্তির হিসেবে অসঙ্গতির অভিযোগে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্য়ুইটে তাঁর দাবি, তৃণমূল প্রার্থী একাধিক মাছের ভেড়ি ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট, ইট ভাটা এবং একটি শপিং কমপ্লেক্সের মালিক। পার্ক সার্কাসে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি তৈরি করেছেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর কথায়, 'এটা সম্পূর্ণ  মিথ্যে, ভিত্তিহীন, শুভেন্দু অধিকারী ১০০ তে ১০০ শতাংশ মিথ্যে কথা বলেন। না হলে ওকে বিজেপি রাখবে কেন. এটা আমরা জানি। আর বিজেপি এখন টের পাচ্ছে। বাঁচতে গেছে তো। ইডি-সিবিআই তদন্ত করুক।' সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে তরজা। অন্য় দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ঘরছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। 

হিংসা দিকে দিকে...
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করে। বিশেষত ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিস্থিতি সবিশেষ উত্তপ্ত হয়, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও রক্ত ঝরে। গত কাল, ভাঙড়-ক্যানিং থেকেই ফিরেই গ্রিভান্স সেল খোলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। অভিযোগ পাঠানো হবে কমিশন-রাজ্য সরকারের কাছে। 


আরও পড়ুন:চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট!