শুক্রবার রাতে প্রচার সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সবংয়ের দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা জয়দেব জানা। তৃণমূলের অভিযোগ, মাঝ পথে বাইক থামিয়ে, মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা, তৃণমূল নেতাকে লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করে। কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, মত্ত অবস্থায় জয়দেব জানা মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। প্রতিবাদ জানালে তাঁর সঙ্গে কয়েকজনের ধস্তাধস্তি হয়। সকালে জয়দেবের মৃত্যুর খবর মেলে, আমি পিংলায় ছিলাম।
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে রাজনীতি। শনিবার নদিয়ার করিমপুরের সভা থেকে এই ঘটনা নিয়ে, নাম করে বামেদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। মমতা বলেন, কমরেডরা ক্ষমতায় আসতেই পারছে না। বলছে বদলা নেব, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তিনি আরও বলেন, সাহস ভাল, দুঃসাহস নয়। এদের হুঙ্কারের জন্য অঞ্চল সভাপতিকে খুন করা হয়েছে, আমরা কী নজর রাখছি না, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে উত্তর চাই, উত্তর নেব।
দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় এখানেই থেমে না থেকে শনিবার ট্যুইটেও আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মহম্মদ সেলিমের বদলা নেওয়ার বিবৃতি দেওয়ার ফলেই এই খুন। নির্বাচন কমিশনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। নেত্রীর সুরেই বাম ও কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তৃণমূল মহাসচিব। বলেন, সেলিম, সূর্যর যৌথ হুমকিতেই খুন। তাঁর প্রশ্ন, কেন মানসকে গ্রেফতার করা হবে না?
তৃণমূলের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। মমতার উদ্দেশ্যে তাঁর চ্যালেঞ্জ, হিম্মত থাকলে গ্রেফতার করে দেখান। জবাব দিয়েছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, হারবে বলে গ্রেফতারির দাবি করছে। গ্রেফতারির দাবিকে ঐতিহাসিক রসিকতা বলে কটাক্ষ করেছেন মানস।
ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে ভোটের আগে সবংয়ে তৃণমূল নেতা খুনে চরমে চাপানউতোর।