কলকাতা: কালীঘাট থেকে তৃণমূলের আনুষ্ঠানিক ইস্তেহার প্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১১০ শতাংশ কাজ করেছি। যে কাজ করেছি, সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। কন্যাশ্রীকে ইউনিসেফ ১ নম্বর প্রকল্পের পুরস্কার দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে আমরাই দেশের মধ্যে প্রথম। বার্ষিক ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।’


ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক ইস্তেহার নয়, এটা উন্নয়নমূলক ইস্তেহার। এই ইস্তেহার মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য, মানুষের তৈরি।’


মমতা আরও বলেন, ‘১ কোটি ৭৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। করোনার জন্য একবছরে অনেক কাজ পিছিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অন্য রাজ্যের তুলনায় আয় বেড়েছে। বাংলার বাজেট ৩ গুণ বেড়েছে। রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন আমাদের রাজস্ব ছিল ২৫,০০০ কোটি টাকা। এখন সেটা বেড়ে ৭৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। মে মাস থেকে বিধবাদের ১,০০০ টাকা করে ভাতা। দুয়ারে সরকার প্রতিবছর ৪ মাস করে হবে। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যের প্রতি পরিবারের নূন্যতম মাসিক আয় নিশ্চিত করব। তফশিলি পরিবারকে বছরে ১২ হাজার টাকা। পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চলবে। কৃষকদের বার্ষিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হবে। বাংলা আবাস যোজনায় আরও ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে। পাহাড়ে বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হবে। ১০ লক্ষ নতুন এমএসএমই গঠন করা হবে। মেয়েদের জন্য আরও বেশি স্কুল কলেজ তৈরি হবে। যাঁরা সংরক্ষণের আওতায় নেই সেইসব গরিব পরিবারকেও মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।’


বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তাহলে নির্বাচিত সরকারের কাজ কী? মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করি।’