বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর...
পঞ্চায়েত ভোটে(Panchayat Election 2023) সন্ত্রাস নিয়ে বিস্ফোরক ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক(Debra TMC MLA) ও প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত,..মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়।' এদিন হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে, যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা পাল্টাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ২০০৮ সালে বাম আমলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, ভয়ঙ্কর নাড়া দিয়েছিল।এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি। ২০০৮ সালে দায়িত্বে থাকার সময় বর্ধমানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিলাম। প্রচুর অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছিলাম। অভিষেক বলেছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন দিতে পারে। আমি নিজে থেকেই বিরোধীদের মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এত খুনোখুনি, মারামারি, কেন জিরো করতে পারছি না ? মৃত্যু কাম্য নয়, মৃতের পরিবারই জানেন এটা কতখানি কষ্টকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা। ভয়মুক্ত, রক্তহীন নির্বাচন করতে পারলাম না।'
বিরোধীদের প্ররোচনাতেই হিংসা, দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
বিরোধীদের প্ররোচনাতেই পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এবার দাবি করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, 'বিরোধীদের সঙ্গে রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হয়ে প্ররোচনা দিয়েছেন। হিংসার বলি সবথেকে বেশি হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরাই।'
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘাড়ে দায় চাপাল BSF
ভোটগ্রহণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় সমালোচনার মুখে পড়ে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন BSF-এর ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া। তাঁর বক্তব্য, "রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই দেয়নি। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাওয়া হলেও, তা এসে পৌছয়নি হাতে। চিঠি দিলে শুধুমাত্র বুথের সংখ্যা জানানো হয়। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেওয়া হয়নি। নজরদারি চালাতেই দেওয়া হয়নি।"
প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের...
'কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? হাইওয়েতে গাড়ি করে ঘুরছিল, থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আদালত জোর করে পাঠিয়েছে, কিন্তু প্রশাসন ব্যবহার করেনি। প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করলে এত মানুষ খুন হত না। ভোট করতে দেওয়া হয়নি, পুনর্নির্বাচনের দাবি করব।' মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
'সময় এসে গিয়েছে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার',শুভেন্দুকে নাড্ডা-শাহের ফোন
শিশির-পুত্র দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোট শেষের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করে তাঁকে বলেছেন, সময় এসে গেছে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার। ভোটে অবাধ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এদিন কালো ব্যাজ পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন। সেইসময় ভিতর থেকে দোতলার কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হলে, সেই দরজায় উত্তেজিত হয়ে লাথিও মারেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন:নির্দল প্রার্থীর বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে দাপাদাপি, ব্যাপক বোমাবাজি সালারে