উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কোচবিহার : রাত পোহালেই গ্রাম বাংলার ভোটের ( Panchayat Election ) উৎসব। তার আগে অশান্তির এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে কোচবিহার ( Cooch Behar ) ! দিনহাটায় বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় চলে গুলি-বোমা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩ বিজেপি কর্মী। মাথা ফেটেছে আরও এক বিজেপি কর্মীর। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দিনহাটার ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে আবার ২ কংগ্রেস কর্মীকে মারধর ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই সবকিছু মধ্যে বারবার উঠে আসছে দিনহাটার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর ( Udayan Guha ) নাম। অভিযোগ উড়িয়ে উদয়ন জানালেন, বাংলার দিকে দিকে উন্নয়ন হচ্ছে। রাস্তাঘাট হয়েছে, পানীয় জল, সৌর আলোর বন্দোবস্ত হয়েছে। এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। এবিপি আনন্দ-র মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন ২০০৮ এর পর কোচবিহারে সিপিএমের সন্ত্রাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অধুনা তৃণমূল বিধায়ক বললেন, কোনওদিন মস্তানি করিনি। কোনওদিন ছাত্র অবস্থাতেও করিনি। তারপরেও করিনি। এখনও মস্তান আমাকে বলা যাবে না। তবে সোজাসাপ্টা কথা বলি। তবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাইনি। সহকর্মীদের ফেলে রেখে পিছিয়ে যাব এমন ঘটনা দিনহাটার বুকে এখনও ঘটেনি। পঞ্চায়েত ভোটের দিন গোলমাল হলে কী করবেন উদয়ন গুহ ? বললেন, কর্মীদের পাশে দাঁড়াব। আর গোলমাল না হলে পার্টি অফিসেই থাকব সারাদিন, বললেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন সময় নানারকম হুঙ্কার ছেড়েছেন উদয়ন গুহ। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই বিরোধী শূন্য করার ডাক দিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। বিরোধী শূন্য ব্লক চাই, ফেসবুকে লিখেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি ৮টিও যাতে বিনা যুদ্ধেই দখল করা যায়, ১২ জন অঞ্চল সভাপতির কাছে সেই দাবি জানান তৃণমূল বিধায়ক। এখন পঞ্চায়েত ভোটের দিন, কোচবিহার শান্তিপূর্ণ থাকে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ ।
মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন