ক্যানিং: ঘুড়ি বানানোর জন্য তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়ায় এক ১০ বছরের বালককে মারধর করার ঘটনায় আজ আসমাউল সর্দার নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। পোস্টার ছেঁড়ায় ওই বালককে মারধর করে হামলাকারীরা। সে বলেছে, ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নারকেল গাছে সজোরে মাথা ঠুকে দিয়েছিল কাকুরা। মাথার মধ্যে ব্যথা করছে খুব। বন্ধুরা সবাই ছুটে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে থাকতে একদম ভাল লাগছে না।  তার মা সাহানারা বিবি বলেন, কলকাতার হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বুধবারই বাড়ি এসেছে ছেলে। কিন্তু সকাল থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পাড়ার কাকুদের বেধড়ক মারধরে গুরুতর জখম ছোট্ট এই প্রাণ। আতঙ্কিত বাড়ির বড়রা। অভিযোগ, পোস্টার ছেঁড়ায়, বাচ্চাটিকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। মুখ-পা বেঁধে তাকে ফেলে দেয় পাশের খেতে। বিকেলে যখন খেত থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়, তখনও কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল মুখ। পা বাঁধা ছিল নাইলনের দড়িতে। পরিবারের লোকেরা দাবি করেন, প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। বাবা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেছেন, ওরা বলছে আমরা সওকত মোল্লার লোক... কে ধরবে? তৃণমূল বলেই পুলিশ ধরতে চাইছে না। অভিযুক্তদের খুঁজেই পাচ্ছে না বলে পুলিশ দাবি করলেও, বুধবার এবিপি আনন্দর ক্যামেরা দিব্য খুঁজে বের করে তাদের একজনকে।  ক্যামেরার সামনে অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেফতার হওয়া আসমাউল! সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সওকত মোল্লাও। প্রশ্ন ওঠে, অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী বলেই কি কাউকে ধরছে না পুলিশ? । সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে এদিন সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ আসমাউল সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে বাকিদের সন্ধান চলছে।