আগরতলা : জিতলেন মানিক সাহা (Manik Saha)। ত্রিপুরার (Tripura) বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী (CM) টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর। বললেন, 'এই ফলে আমি খুশি। আরও বেশি আশা করেছিলাম।' একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়েছেন বরদোয়ালি কেন্দ্রের বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী।
আর কী?
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আগেই বলেছিলাম যে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে সে কথাই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিংহ-সহ সমস্ত দলীয় কর্মীকে ধন্যবাদ।' তবে তিনি যে আরও বেশি সংখ্যক আসন আশা করেছিলেন তা নিয়েও লুকোচাপা করেননি মানিক। বলেন, 'সেটি কেন হল না তা নিয়ে ভোটের ফলপ্রকাশের পর কাঁটাছেড়া হবে। আপাতত জয়ের শংসাপত্র আনতে যাচ্ছি।' শপথগ্রহণের মতো বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে স্থির করা হবে, জানান তিনি।
তিপ্রামথার সঙ্গে জোট?
এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি কি তিপ্রামথার সঙ্গে জোটের পথ ধরবে? এখনও পর্যন্ত যতটুকু শোনা যাচ্ছে তাতে বিজেপি মুখপাত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি ছাড়া বিজেপি প্রদ্যোৎ দেববর্মার দলের সব কথা মানতে রাজি। এর মধ্যেই মানিক সাহার বাসভবনে মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বরদোয়ালি কেন্দ্রের পাশাপাশি মোহনপুর কেন্দ্র থেকেও জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী রতনলাল নাথ। অন্য দিকে, তিপ্রামথার তরফে প্রথম জয়ের শিরোপা ওঠে শিমনা কেন্দ্রের প্রার্থী বৃষকেতু দেববর্মার মুকুটে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণা হতেই চড়েছিল উত্তেজনার পারদ। শাসক বিজেপি ও বিরোধী সিপিএম-এর মধ্যে তুঙ্গে উঠেছিল বাগযুদ্ধ। এই বছর নানা জট কাটিয়ে অবশেষে হাত মিলিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। অন্যদিকে এবার ত্রিপুরায় বিশেষ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে তিপ্রা মথা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এবার উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমেছিল তৃণমূল। সব দলেরই হেভিওয়েটরা প্রচার করেছেন এই রাজ্যে। অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই দিনে পৌঁছেছিলেন ত্রিপুরায়। একদিকে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি- অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝোড়ো প্রচার চলেছে ত্রিপুরায়। চড়েছে বক্তব্যের পারদও। বাংলার উন্নয়নের একাধিক উদাহরণ সামনে রেখে ত্রিপুরায় প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় জিতলে বাংলার মতোই একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালুর বার্তাও দেওয়া হয়েছিল প্রচারে। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিয়েছিলেন আশ্বাস।