শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উদয়ন গুহর গাড়িতে (Udayan Guha Car Attacked) হামলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কোচবিহরের ঘুঘুমারিতে। বিজেপির মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ। উদয়নের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নির্দেশে এই হামলা চলেছে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-ও। 


কী অভিযোগ?
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী যখন কোচবিহারে আসছিলেন, সে সময়ই ঘুঘুমারি মোড়ে একটি বিজেপির মিছিল চলে। রাজ্যের মন্ত্রীর অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে নিশীথ প্রামাণিকের নির্দেশে তাঁর গাড়িতে হামলা চলানো হয়েছে। উদয়ন গুহর গাড়ির কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ এনেছেন নিশীথ প্রামাণিক।  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বক্তব্য, 'নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য পাল্টা অভিযোগ করছে। শুধু আমি নই, আইসি(কোতোয়ালি) নিজে ছিলেন। তাঁরা, সাধারণ মানুষ কেউ যদি বলেন যে আমাদের গাড়ি থেকে নেমে কেউ ওঁদের আক্রমণ করেছে...এর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সব গাড়ি মিলিয়ে হয়তো ২০ জন রয়েছি। আর ওঁরা এত লোক। আর আমরা ওঁদের হামলা করব?'  তাঁর মতে, স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, 'নিশানা' করা হয়েছে, তার পরই হামলা। তা হলে কি এবার নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ভাবছেন উদয়ন? তাতে বললেন, 'আমি যেখানেই যাচ্ছি, নির্বাচন কমিশন পিছনে পিছনে যাচ্ছে। ছবি তুলছে...'  


দিনহাটার ঘটনা...
লোকসভা ভোটের আগে উদয়ন এবং নিশীথের মধ্যে ঝামেলার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত ১৯ মার্চ, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন দিনহাটায় পরিস্থিতি তেতে উঠেছিল। সেদিন তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে যে সংঘর্ষ বাধে, তাতে নিশীথ-উদয়নও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মাথা ফাটে এক SDPO-র। এক তৃণমূল কর্মীরও মাথা ফেটে যায় বলে জানা গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে, নিবেননগর থেকে প্রচার সেরে সেদিন ব্যাটাগুড়ি ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারে বিজেপি-র প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সেই সময় দিনহাটায় উদয়নের জন্মদিনের উৎসব চলছিল। অভিযোগ, নিশীথের কনভয় থেকে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।বিজেপি-র দাবি, নিশীথের কনভয় যেতে দেখে তৃণমূলের তরফেই হামলা চালানো হয়, যাতে নেতৃত্ব দেন উদয়ন। একেবারে সামসামনি পড়ে যান নিশীথ এবং উদয়ন। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও রকমে নিরস্ত করেন তাঁদের।
সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা-জল্পনা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তার রেশ মেলাতে না মেলাতেই ফের তরজায় উদয়ন-নিশীথ।


আরও পড়ুন:নির্বাচনের আগে অর্থ অনুদানের আবেদন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছল সিপিএম