বীরভূম: বীরভূমের হাসনে ভোট শেষেও উত্তেজনা। বুথ থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে যেতে বাধা গ্রামবাসীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ব্যালট বাক্স নিয়ে যেতে হবে, দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের বাধায় বুথেই পড়ে ব্যালট বাক্স । 


ভয়ের ভোট! একের পর এক খুন! পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি! মাস্কেট-বাহিনীর তাণ্ডব। অবাধ বোমাবাজি থেকে দেদার ছাপ্পা! কিম্বা ব্যালট লুঠ! কিচ্ছু  বাদ গেল না পঞ্চায়েত নির্বাচনে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ, জায়গায় জায়গায় ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য়। নবজোয়ার কর্মসূচিতে বারবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আদতেই রক্ষা করা গেল না। স্বজনহারা মানুষগুলোর কান্নাই বলে দিচ্ছে, কেউ কথা রাখেনি।


মুখ ঢেকে ছাপ্পা: সাঁইথিয়ার মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষাডহরি প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বুথে মুখ ঢেকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ভাইরাল ভিডিও। অভিযোগের তির তৃণমূলের। ছবি তুলতে গেলে তেড়ে আসেন কয়েকজন। নীরব দর্শকের ভূমিকায় প্রিসাইডিং অফিসার।  


ব্যালট পোড়ানো হল: বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের রাজচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ নম্বর বুথে মুখে গামছা বেঁধে তৃণমূল কর্মীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্রামবাসীরা। ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দিয়ে পুকুরে ফেলে দেন তাঁরা। মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভীত-সন্ত্রস্ত ভোট-কর্মী এবং ভোটাররা।


প্রিসাইডিং অফিসারের কান্না: ময়ূরেশ্বর হাইস্কুলের মহিলা পরিচালিত ১০ নম্বর বুথ। ভয়ে কাঁদছেন প্রিসাইডিং অফিসার। অসহায় ভোট কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বুথের মধ্যে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষকৃতীরা। একজন অস্ত্রধারী পুলিশ রয়েছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলা পরিচালিত এই বুথের ভোট কর্মীরা। 


ব্যালট পেপার পুড়ল: ময়ূরেশ্বর ব্লকের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৬ ও ৫৭ নম্বর বুথে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ব্যালট বক্স ফেলা হল পুকুরে। পোড়ানো হল মোটরবাইক। বিজেপি ও তৃণমূল দু’দলই একে অন্যের ঘাড়ে গন্ডগোলের দায় চাপিয়েছে।  


অবাধে ভোট লুঠ: রামপুরহাট সন্তোষপুর হাইস্কুলে অবাধে ভোট লুঠ তৃণমূলের। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার। এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ৮-১০ জন মিলে ব্যালট পেপারে ছাপ্পা মারছে। অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে দেখছেন প্রিসাইডিং অফিসার। ভোটকেন্দ্রে নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিধিরাম সর্দার অস্ত্রধারী একজন পুলিশ কর্মী।