কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে লাগাতার সন্ত্রাস, ১৯ দিন ১১ জনের মৃত্যু। কোচবিহারের (Cooch behar) দিনহাটার গীতালদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। গুলিবিদ্ধ শাসকদলের  আরও ছয় কর্মী৯ ই জুন, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। ২ এরপর, ১৫ই জুন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন হন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা ও ২ তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। 


পিটিয়ে ও গুলি করে খুনের অভিযোগ: ওই দিনই, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখকে পিটিয়ে ও গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ১৭ জুন, কোচবিহারের দিনহাটায়, বিজেপি প্রার্থীর দেওর শম্ভু দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ওইদিনই মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে মারা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে। 


 গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মী: ১৫ জুন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন ২১ বছরের সিপিএম কর্মী মনসুর আলম। ২১ জুন তাঁর মৃত্যু হয়।পরের দিন ২২ জুন, পুরুলিয়ায় রেলশহর আদ্রায় পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে। 


২৪ জুন, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষকৃতী আলিম বিশ্বাসের। এই তালিকায় এবার জুড়ল কোচবিহারের দিনহাটা। গীতালদহে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।


ভোটের আগে কার্যত বারুদের স্তূপে বাংলা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পাটক্ষেতের মধ্যে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু গুরুতর জখম হওয়া এক দুষ্কৃতীর। কিন্তু কারা বাঁধছিল বোমা, কাদের নির্দেশেই বা এই কাজ চলছিল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।         


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial