কলকাতা: তিনটি স্তরেই (Three Tiers Panchayat System)  একসঙ্গে ভোটগণনা (Vote Counting) করতে হবে, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলার রায়ে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এই তিনটি স্তরেই একসঙ্গে ভোটগণনা করতে হবে, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্পর্শকাতর হিসেবে ৭টি জেলাকে চিহ্নিত করল হাইকোর্ট। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 


আর কী বলল হাইকোর্ট?
পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার পর, মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই দিকে দিকে তীব্র অশান্তির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরাপদ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে রায়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষত ভোটগ্রহণের বিষয়টি যাতে নিরপেক্ষ ভাবে করা সম্ভব হয়, সে দিকে মাথায় রেখেই বুথে বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হয়েছে। যে সব বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব নয়, সেখানে গোটা পর্ব ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের সময় যে ভয়ঙ্কর হিংসার ছবি উঠে এসেছিল, এই বার যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্য শাসকদলের তরফেও বার বার বার্তা দেওয়া হয়। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার রক্তপাতহীন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই হিংসার আবহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট কী ভাবে নির্বিঘ্নে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। কলকাতা হাইকোর্টের রায়েও সেই দিকটি যে মাথায় রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট। স্পর্শকাতর হিসেবে ৭টি জেলাকে চিহ্নিত করে সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের রায়ে। এই জেলাগুলি ছাড়া আর কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তা নিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ আদালত। তবে বিনা খরচে কেন্দ্র যাতে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়, সেই কথাও বলা হয়েছে রায়ে। অন্তত তেমনই ব্যাখ্যা আইনজীবীদের। 


আর কী?
পঞ্চায়েত ভোটের সুরক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা যাবে না, এটিও জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতে। নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে, নির্দেশ হাইকোর্টের। ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। তবে মনোনয়নের সময়সীমায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রেখেছে আদালত। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে কমিশন, জানানো হয়েছে রায়ে। মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরেই ছাড়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন:নতুন বাড়ি তৈরির সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, অন্যথা হতে পারে ক্ষতি !