কলকাতা : ইতিবাচক এবং নেতিবাচক শক্তির কথা বলা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। বাস্তুতে প্রতিটি দিকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুতে ঘরে রাখা সবকিছুর নির্দিষ্ট দিক বলা হয়েছে। নতুন বাড়ি তৈরির জন্য কিছু নিয়মের কথাও বলা হয়। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হলে ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তুতে নতুন বাড়ি তৈরির সঙ্গে কী কী বিষয় জড়িত।
নতুন বাড়ি তৈরির সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন-
- আপনি যদি নতুন বাড়ি তৈরি করতে চান, তবে প্রথমে একটি ভাল মাস বেছে নিন। বৈশাখ, শ্রাবণ, কার্তিক, মাঘ ও ফাল্গুন মাসে গৃহ নির্মাণ শুরু করা খুবই শুভ। মনে করা হয় যে, এই মাসে শুরু করা কাজ স্বাস্থ্য এবং সম্পদ নিয়ে আসে।
- নতুন বাড়ি নির্মাণের প্রথম ধাপ হল এর ভিত্তি খনন করা। বাস্তু মতে, ভিত্তিতে একটি ধাতব সাপ এবং একটি কলস রাখা শুভ।
- বাস্তু মতে বর্গাকার ও আয়তাকার ঘর ভাল। একটি আয়তক্ষেত্রাকার বাড়ির দৈর্ঘ্য প্রস্থের দ্বিগুণের বেশি হওয়া উচিত নয়। প্লটটি বর্গাকার হলে সামনের অংশে জায়গা রেখে পিছনের দিকে বাড়ি তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে, যদি এটি আয়তাকার হয়, তবে এটির সামনে ঘর তৈরি করতে হবে।
- বাস্তুতে ঘরের কোণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তিন এবং ছয় কোণ বিশিষ্ট একটি ঘর দীর্ঘায়ুর জন্য যথার্থ নয়। পাঁচ কোণ বিশিষ্ট ঘর শিশুদের কষ্ট দেয়। আট কোণার বাড়ি সবসময় রোগে ঘেরা থাকে। ১৮ কোণার ঘর অর্থের ক্ষতি বা বিয়ে না করার মতো সমস্যা তৈরি করে।
- বাস্তু অনুসারে, পুজো করার পরেই নতুন বাড়িতে যাওয়া উচিত। বাস্তু পূজার পাশাপাশি কুলদেবতার পুজোও করতে হবে। এতে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় এবং দেবতারা বাড়ির সদস্যদের রক্ষা করেন।
প্রসঙ্গত, অধিকাংশ মানুষই সারাজীবনের পুঁজি ব্যয় করে একটি বাড়ি নির্মাণ করে। এই কাজে তাই সবকিছু দেখেশুনে এগনোই ভাল। যাতে ভবিষ্যতে কোনও রকম সমস্যা না হয়। তাতে মন খুঁতখুত করতে পারে। মনে হতে পারে, যে এই কাজটা করলে হয়তো ভাল হতো। তাই বাড়ির কাজ শুরুর আগে বাস্তু শাস্ত্রে নজর দিন।
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)