কলকাতা: বেলা গড়ালেও হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় ফাঁকা। দেখা নেই নেতা-কর্মীদের। শুনশান বিজেপি কার্যালয়। এদিন সকালে কার্যালয়ের মূল দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বেলা বাড়লেও কাউকে দেখা যায়নি। কলকাতা, মাঝারি স্তর বা বড় কোনও নেতা কাউকেই দেখা যায়নি। 


উল্লেখ্য, একুশের মহারণের আগে জোরকদমে প্রস্তুতি নিয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গিয়েছে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবারের ভোট বিজেপির কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। না জিততে পারলেও অন্তত তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে পারবে, এমনটাই আশা ছিল। নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন একাধিক বিজেপি নেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। সেই তালিকায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। 


এদিকে গণনার প্রথম ধাপ থেকেই এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভবনীপুরে ৩৩ হাজার ৯৮২ ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বাকি ২ কেন্দ্রেই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। জঙ্গিপুরে ২২ হাজার ৪৫৩ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। সামশেরগঞ্জে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ৫ হাজার ১৩১ ভোটে এগিয়ে।


হাইভোল্টেড ভবানীপুর কেন্দ্র সহ মুর্শিদাবাদের দুই  বিধানসভা কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রবিবাসরীয় সকালে চড়ছে উত্তেজনার পারদ।মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে ভোট গণনা শুরু হয়েছে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের। জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে লড়াই হয়েছে ত্রিমুখী। সামশেরগঞ্জে লড়াই চতুর্মুখী।


শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোট গণনা চলছে। ২১ রাউন্ড গণনা হবে। ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭.০৯ শতাংশ। সকাল সকাল গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে যান বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ফিরে যান ফিরহাদ হাকিম। গণনা কেন্দ্রকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।