কলকাতা: ১ এপ্রিল রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে আজ প্রচার শেষ হল। আজ শেষদফার প্রচার সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত শাহরা। প্রচার শেষ হওয়ার পর এবার ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।


দ্বিতীয় দফায় চারটি জেলার ৩০টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট ১৭১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে ১ এপ্রিল। ভোটারের সংখ্যা ৭৫,৯৪,৫৪৯। মোট বুথের সংখ্যা ১০,৬২০। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় যে বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ করা হবে, তার সবগুলিকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।


প্রথম দফার মতোই দ্বিতীয় দফার ভোটেও নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বাঁকুড়া (পার্ট ২), পূর্ব মেদিনীপুর (পার্ট ২), পশ্চিম মেদিনীপুর (পার্ট ২) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (পার্ট ১) ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭০ কোম্পানি ও বাঁকুড়ায় ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুধু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ৩৫৫টি বুথের জন্যই মোতায়েন করা হয়েছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে সমসংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম। সব বুথেই থাকবে মাইক্রো অবজার্ভার। ৭৫ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। মোবাইল ও নেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে ৩১শে মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত কানেকশনে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। নন্দীগ্রামে ১ জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ব্যয় পর্যবেক্ষককে নিযুক্ত করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে বাড়ানো হচ্ছে সেক্টর অফিসারের সংখ্যা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী যে নিরাপত্তারক্ষী পান, সেই নিরাপত্তা রক্ষীরাই ভোটের দিন তাঁদের সঙ্গে থাকবেন।


আজ দ্বিতীয় দফার শেষদিনের প্রচারে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইল চেয়ারে বসেই ঝড় তোলেন। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে রোড শো করেন অমিত শাহ, মিঠুন চক্রবর্তী।