সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বেহালা পূর্বে এবার তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সকালে-বিকেলে দু’বেলাই বেরোচ্ছেন প্রচারে। বাড়িতে হাল্কা খাবার। তবে বাইরে বেরিয়ে চা-ও নয়। এটাই মন্ত্র রত্নার। এই গরমে ফিট তো থাকতে হবে।


এতদিন নির্বাচনের সময় ঘর -সংসার সামলানোর কাজটা করতেন তিনি। এবার তিনিই বাড়ি ছেড়ে সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ।  শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বেহালা পূর্বে এবার তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শোভন অনেকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়েছেন। তিনি এখন বিজেপিতেও নেই।  শোভন যখন বেহালার বাড়িতে থাকতেন, যখন তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে  বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন, তখন তাঁর ব্যাক হাউস সামলানোর কাজটা করতেন রত্না।


বেহালা পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘আগে যখন শোভনবাবু ভোটে লড়তেন তখন রান্না করতাম। তখন ছেলেমেয়েকে মানুষ করার কাজ একা হাতে সামলাতে হয়েছে। এখন রান্না করার সে সুযোগ নেই। তবে ছেলের আবদারে কখনও কখনও রান্না করি।’’


এখন ব্যাক হাউস, ফ্রন্ট হাউস  সবই একা হাতে সামলাতে  হচ্ছে বেহালা পূর্বের তৃণমূল প্রার্থীকে। মার্চের চড়া রোদে প্রচার।  তাই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক রত্না।  সকালে এক কাপ চা ও বিস্কুট খেয়ে বেরিয়ে পড়া প্রচারে। সকালের প্রচার সেরে ফিরে এসে হাল্কা জলখাবার। কখনও রুটি তরকারি, কখনও অন্য কিছু। দুপুরের মেনুতে সাধারণত থাকছে, ভাত, ডাল, তরকারি, সঙ্গে মাছ। গরমে ঘুরতে হচ্ছে বলে বাইরের খাবার মুখে তুলছেন না তৃণমূল প্রার্থী। এমনকী চা-ও নয়। সারাদিনের প্রচারের ধকলের পর রাতে হাল্কা খাবার। রুটির সঙ্গে সব্জির তরকারি বা কখনও মুরগির মাংস।


পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত প্রধানত শর্করা সরবরাহ করে। শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডাল। সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মাছে থাকে ভিটামিন-এ এবং বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই আহারই তাঁকে সকাল বিকেলে বিধানসভা কেন্দ্রের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে ফেলার শক্তি জোগায়।  তবে প্রচারের এই ব্যস্ততার মধ্যে সারাদিন বাইরে ঘুরলেও রাতে চেষ্টা করেন ছেলেমেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে খেতে। বাড়ির সংসার সামলানোর দিকে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর। এবার একটা বিধানসভা কেন্দ্রের সংসার সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে পথ হাঁটছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।