কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন কল্যাণ চৌবে। মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ ডিসিআরসিতে দলীয় কর্মীদের খবর নিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। প্রথমে দুর্ব্যবহার করার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তারপর ৪০-৫০জন তৃণমকর্মী তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ চৌবে।


যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু বলেন, জানি না কারা হামলা করেছে। আমরা এর নিন্দা করছি। আমরা আমাদের কর্মীদের সংযত করতে পারি। কিন্তু, ওরা পারে না। ওদের ডিএনএ-তে হিংসা আছে। 


এদিকে ভোটপর্বের মাঝে তাদের রাখা বক্তব্যের জন্য রবিবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডলের ভোটপ্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার সন্ধে ৭ টা থেকে সোমবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত কোনওরকম ভোটপ্রচার তারা করতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।


রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। ওই ঘটনার পর শোলে ছায়াছবির সংলাপ অনুসরণ করে সায়ন্তন বসু বলেছিলেন, তোমরা একজনকে মারলে আমরা চারজনকে মারবো। জলপাইগুড়ির বানারহাটে একটি জনসভায় সায়ন্তন বলেন, “খেলা বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচি খেলে দেব৷ জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া আনন্দ বর্মনকে হত্যা করেছে ওরা। সে বিজেপির শক্তিকেন্দ্র প্রমুখের ভাই ছিল। আমরা এর পর আর অপেক্ষা করব না। চার জনকে ইতিমধ্যেই স্বর্গে পাঠানো হয়েছে। শোলে সিনেমায় একটা ডায়লগ ছিল যদি আপনাদের মনে থাকে, তুমি একটা মারলে আমরা চারটে মারব। শীতলকুচি তার সাক্ষী থাকল। তোমরা একটা মারলে, আমরা চারটে মারব।“


অন্যদিকে, আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল তফশিলি জাতি নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ পেয়ে সুজাতা মন্ডলের উত্তর জানতে চাওয়া হয়। তিনি উত্তরে জানান, তফশিলি জাতির প্রতি তাঁর যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। যে উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে সুজাতা মন্ডলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।