অমিত জানা, নারায়ণগড়: সন্ত্রাসের অভিযোগে তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি এবং ওসি-এসপিকে অপসারণের দাবিতে রাতভর থানায় বিক্ষোভ দেখালেন নারায়ণগড়ের বিজেপি প্রার্থী। কমিশনে নালিশ জানিয়েও সাড়া মেলেনি বলে তাঁর অভিযোগ। গোটাটাই নির্বাচনী চমক, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
১ এপ্রিল নারায়ণগড় বিধানসভায় ভোটগ্রহণ। তার ৭ দিন আগে থানার সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিজেপি প্রার্থী। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। বিজেপি প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরির অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের মকরামপুর অঞ্চলের সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত শিটের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। ওই ঘটনায় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার ও নারায়ণগড় থানার ওসি এবং জেলার পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবি জানিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন বিজেপি প্রার্থী। এমনকী, নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
নারায়ণগড়ের বিজেপি প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরির দাবি, ‘তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ওসি-এসপি-কে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। ওরা ফোন ধরে না।’
দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সূর্যকান্ত অট্ট। কমিশনে নালিশ প্রসঙ্গে উল্টে বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। নারায়ণগড়ের তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করেন নরেন্দ্র মোদি। হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপি প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’
অন্যদিকে, নারায়ণগড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ। এক গোষ্ঠীর উপর বোমা-গুলি নিয়ে হামলার অভিযোগ অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মৃত এক তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মকরামপুরে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সম্প্রতি নাকফুঁড়ি মুর্মুকে সরিয়ে অঞ্চল সভাপতি করা হয় লক্ষ্মী শিটকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে এক জায়গায় বসেছিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় লক্ষ্মী শিটের অনুগামীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালায়। মৃত্যু হয় সৌভিক দলুই নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক তৃণমূল কর্মীর। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শিট। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস।