পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের আসাদতলায় শুভেন্দুর গাড়িতে চড়াও। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলকর্মীদের ধস্তাধস্তি। এখনও এব্যাপারে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


মাঝে আর মাত্র দুদিন। তারপর দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। আর এই দফায় নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ। তার আগেই উত্তেজনা ছড়াল শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্র করে। আজ সোমবার আসাদতলায় একটি নির্বাচনী সভা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সভা সেরে বেরনোর পর কিছুটা এগতেই রাস্তায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় সেটি একটি পাড়া এলাকা। সরু গলির মধ্যে দিয়েই শুভেন্দুর কনভয় যাচ্ছিল। তখনই দু’ দিক থেকে বিক্ষোভকারীরা কনভয় আটকানোর চেষ্টা করেন। 


এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরাই রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কারণ বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকাও দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি এবং গোটা কনভয় সেখান থেকে বার করে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং পুলিশ কর্মীরা।


নন্দীগ্রামে সম্মুখসমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী। লাগাতার প্রচার। এ পাড়ায় মমতা, তো ওপাড়ায় শুভেন্দু। একজন চড়া রোদ্দুরে হুইলচেয়ারে আট কিলোমিটার মিছিলে। পাড়ায়-পাড়ায়, গলিতে গলিতে। অপরজন পুরনো ভঙ্গীতে কখনও মোটরবাইকের পেছনে চেপে। কখনও গাড়িতে। কখনও আবার হেঁটেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন।


অন্যদিকে নন্দীগ্রামে তাঁর পায়ে চোট লাগা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পাল্টা কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সময় তুই আমার পা জখম করেছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এ সব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এ সব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এ সব করিয়েছ তুমি।’


পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মাননীয়া বলছে আগে সিপিএম মারত, এখন বিজেপি মারছে মিথ্যা কথা বলছে। কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, মমতা বুঝে গেছেন, আর কিছু বাঁচানো যাবে না। তাই নন্দীগ্রামে শেষরক্ষা করতে এসেছেন। শুভেন্দু ওখানকার নেতা। দিদিমণি বহিরাগত।