নন্দীগ্রাম: জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা... তবে, সকাল থেকেই আত্মবিশ্বাসী দেখালো পরীক্ষার্থীকে। সকাল থেকেই চড়কির মতো, নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত, ছুটে বেড়ালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস। তবে এদিন যেন বড্ড তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেছিল। সকাল ৭টার মধ্যেই নন্দীগ্রামে ঢুকে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী।
বেলা গড়াতে বেরোলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে বয়ালে এলেন তৃণমূল নেত্রী। এখানে সকাল থেকেই তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের বুথ এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। ওই এলাকায় মমতা যেতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। তখনও বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন শুভেন্দু। 
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তারপর প্রার্থী বেরোচ্ছেন। তাহলেই বুঝে নিন।
শুভেন্দু বলেছেন, এটা আসলে জয় শ্রীরামের ভয়। শেষ প্রচারে এত জয় শ্রীরাম হয়েছে... হিঙ্গুয়া, বলরামপুর ও রেয়াপাড়ায় হয়েছে..এতটাই হয়েছে যে......। 
এভাবে শুভেন্দু দাবি করেছেন, বিজেপির জনসমর্থনের আভাস পেয়েই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। 
শুভেন্দু বলেছেন, ‘৭০ শতাংশ ভোট হয়ে গিয়েছে। ৮৫-৮৮ শতাংশ হবে ভোটের হার। কোনও কোনও বুথে ভোটের হার ৯০ শতাংশর বেশি হবে। আমাদের বুথ ম্যানেজমেন্ট খুবই শক্তিশালী’। 
শুভেন্দুর দাবি, হারার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তৃণমূল।
তিনি বলেছেন, ‘এতদিন এখানে কোনও রেজিস্টান্ট ছিল না। অপোসিশন ছিল না। তাই কমপ্লেইন ছিল না। এবার তো জবরদস্ত কমপিটিশন। টিএমসি ডেসপারেট’। 
শুভেন্দুর দাবি, ‘‘তৃণমূল তো ৭০-৮০টা বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। লোকই তো নেই। যে বুথে ধমকাচ্ছে, সেখানে যাব।’’
তাত্পথর্যপূর্ণভাবে, এতগুলি বুথ ঘোরার পর, ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। বললেন,  ‘বেগম হারছে। বিকাশ জিতছে। জমির সঙ্গে কঠিনভাবে যুক্ত আমি। গ্রামে পাড়ায় লোকজন আছে। মানুষকে বিশ্বাস শব্দটা খুব বড়। যেটা নন্দীগ্রামে জনগণের সঙ্গে আমার আছে। ২০ বছরের সম্পর্ক। আমার এজেন্টকে ঢুকতে সকালে বাধা দিচ্ছিল। পরে ঠিক হয়ে যায়। শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে’।