কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে ফের বিরোধীদের একজোট করতে চিঠি মমতার। বিরোধী নেতাদের নিয়ে বৈঠকের প্রস্তাব দিলেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে ৩ পাতার চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।


সনিয়া গাঁধী, কেজরিওয়াল, স্ট্যালিন, অখিলেশ সহ ১৪ জন নেতাকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি অভিযোগ  করেছেন, সংবিধান মানছে না বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ওই চিঠিতে রাজ্যপালের অফিসকেও রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। যার ফলে রাজ্যগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজ করা যাচ্ছে না।





মমতা চিঠিতে লিখিছেন, বিজেপি যেভাবে সংবিধান এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ করছে তাতে আমি মনে করি আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করা উচিত। তাঁর অভিযোগ স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে কোনওদিন শাসক দল এবং বিরোধীদের এই ধরনের সম্পর্ক হয়নি। রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে খর্বকরতে চায় কেন্দ্র। একনায়ক তন্ত্র শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় তারা। তাই এই অবস্থায় আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। একসঙ্গে লড়াই করে বিকল্প কিছু মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারলেই আমাদের জয় সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ সহ বাকি রাজ্যের নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই এই সংক্রান্ত আলোচনা করে পরিকল্পনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


উল্লেখ্য, আগামীকাল দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে ভোট কাল। সম্মুখ সম্মরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী। টানটান উত্তেজনার মাঝেই আগামীকাল ভোট-যুদ্ধে মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। লড়াইয়ের ময়দানে আছেন সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সারা রাজ্যের নজর এখন নন্দীগ্রামেই। রাত পোহালেই রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ৩০ আসনে ভোট। বঙ্গভোটযুদ্ধের এই ভরকেন্দ্রকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তাগ্রহণ করেছে কমিশন। এলাকায় ঢোকার মুখে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফি। জারি ১৪৪ ধারা। হেলিকপ্টারে নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন।


নন্দীগ্রামের সবকটি বুথকেই স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ৩৫৫টি বুথের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাত, দু’হাজারের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের দিন মোতায়েন থাকবে নন্দীগ্রামে। সমস্ত বুথেই থাকবে মাইক্রো অবজার্ভার। ৭৫ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।  নন্দীগ্রামে ১ জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ব্যয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে।