নন্দীগ্রাম: দুপুর পর্যন্ত তিনি রেয়াপাড়ার বাড়িতেই ছিলেন। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বয়ালে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় বিজেপি সমর্থকেরা। তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনের জন্য রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে থেকে তৃণমূল নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধাদান, এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও করেছে তৃণমূল। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো যে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে, সেইসব জায়গায় বিভিন্ন বুথে তৃণমূল নেত্রী যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকেই রেয়াপাড়ার বাড়িতে বসেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তিনি। ওই বাড়িতেই কন্ট্রোল রুম গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বসেই দলের কর্মীদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। 


তবে বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। এখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবাধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানকার ক্ষোভের কথা গ্রামবাসীরা জানান তৃণমূল প্রার্থীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।


যদিও মমতাকে দেখে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে মুহুর্মুহু। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা একে অন্যদের দিকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন। গোটা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে বুথের ভেতরেই রয়েছেন মমতা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, কেন এতক্ষণ বুথের ভেতরে থাকবেন প্রার্থী।


এখানকার একটি বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে তৃণমূলের ওই এজেন্টের বাড়িতে যান এবং তাঁকে বুথে গিয়ে বসতে বলেন। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানের আশ্বাসও দেন। কিন্তু ভয় কাটেনি তৃণমূলের ওই এজেন্টের পরিবারের। কাঁদতে কাঁদতে তৃণমূলের ওই এজেন্টের মা বলেন, ছেলেকে পাঠাতে পারব না। 


 


তাঁর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বাড়িতে ঢুকে রান্নাঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর বাড়ি ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।