আশাবুল হোসেন, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও ঋত্বিক প্রধান, কাঁথি: উত্তর কাঁথির জনসভায় বিজেপি, মোদি সরকার, অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের কথাও তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সহজ-সরল জীবনযাপনের জন্য বরাবরই পরিচিত মমতা। আজ সে কথাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একটাকা মাইনে নিই না। আমি চাকর বাকরের মতো কাজ করি। সার্কিট হাউসে ভাড়া দিই। ৭ বার এমপি ছিলাম, এক পয়সা নিই না। আমি বই, গান লিখি, ক্যাসিও বাজাই, সেই টাকাও নিই না। আমার কীসে লাগবে? একা মানুষ।’
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘আমার ১০ বছরে বাবা মারা যায়। মা বলত বাবাকে, তুমি তো ছেলে মেয়ের জন্য কিছু রাখলে না। বাবা বলত, ছেলে-মেয়েদের ভাল করে মানুষ করে দাও, ওরাই টাকা করবে। দেশকে গর্বিত করবে।’
মমতার একসময়ের ঘনিষ্ট সঙ্গী হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। তিনিই এবার নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করছেন। আজ শুভেন্দুর বাবা, প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অধিকারী পরিবারের সদস্যদের নাম না করে ‘গদ্দার’ বলেছেন মমতা। তাঁর তোপ, ‘আমি তো গাধা ছিলাম। বিশ্বাস করে গিয়েছি, ভালবেসেছি নিঃস্বার্থভাবে। আর এখন তো শুনছি সম্পত্তি নাকি ৫০০০ কোটি টাকার। এত টাকা কোথা থেকে এল? এত টাকা করেছে জে সেই টাকা বাঁচানোর জন্য পালিয়েছে। কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক আরও কত কী আছে! হাজার হাজার কোটি টাকা করেছে।’
মমতা কারও নাম না নিলেও, তাঁর মন্তব্য থেকে ইঙ্গিত স্পষ্ট, নিশানায় অধিকারী পরিবার। যারা এখন এখন ধাপে ধাপে বিজেপির দিকে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানানোর অভিযোগ করতে গিয়ে আজ মমতার মুখে যে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কথা শোনা গেল, তার চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অন্যতম বড় সমবায় ব্যাঙ্ক হল, কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করতে গিয়ে এই সমবায় ব্যাঙ্কের কথাই উল্লেখ করেছেন মমতা।