আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, সিঙ্গুর: সিঙ্গুরের সভা থেকে এবার নতুন টার্গেট সেট করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২২৫ থেকে ২৩০টি আসনে না জিতলে বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচা শুরু করবে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ঘোড়া কেনাবেচা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির তরজা দেখে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে সিপিএম।


ভোটের সবে এক দফা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা। আরও ৬ দফা ভোট হবে। তারপর ফল ঘোষণা। তারপর সরকার গড়ার তোড়জোড়। কিন্তু, এখন থেকেই কি ভোটের ফল বেরোনোর পর বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বুধবার তাঁর কথা তেমনই ইঙ্গিত স্পষ্ট। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২২৫ থেকে ২৩০টা আসন না পেলে সরকার গঠন করব কী করে ৷’’


বিজেপির দু’শোর পাল্টা এবার তৃণমূলের ২২৫। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের নেপথ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুর। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট। বুধবার সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী এবার নতুন টার্গেট সেট করলেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মোট আসন ২৯৪। ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ একা সরকার গঠন করতে জিততে হবে ১৪৮টি আসনে। বিজেপি নেতারা গোড়া থেকেই দাবি করছেন, বিধানসভা ভোটে তাঁরা দু’শোর বেশি আসনে জিতবেন।


বুধবার সিঙ্গুরের সভা থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ২২৫ থেকে ২৩০ আসনের লক্ষ্য স্থির করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ম্যাজিক ফিগার যেখানে ১৪৮, সেখানে তৃণমূলনেত্রী সরকার গঠনের জন্য ২২৫ আসনের কথা বলছেন কেন? সেই কারণও সভা থেকেই ব্যাখ্যা করেন তিনি। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সিঙ্গুরের সভায় বলেন, ‘‘২২৫-২৩০টা আসন না পেলে সরকার গঠন করব কী করে। কম পেলে ৫ লাখ ৫ কোটি টাকা দিয়ে গদ্দারদের কিনে নেবে। গদ্দারদের থেকে বাঁচার জন্য তৃণমূলকে বেশি করে ভোট দিন ৷’’


তৃণমূলনেত্রীর কেনাবেচা কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিতেও দেরি করেনি বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এর পাল্টা বলেন, ‘‘হারবে জেনে এসব বলছে। অর্থহীন কাল্পনিক কথা ৷’’ অন্যদিকে, সিপিএম আবার কটাক্ষের সুরে বলছে, নেতা কেনাবেচার এই সংস্কৃতি তো রাজ্যে আমদানি করেছে তৃণমূলই। বিধানসভা ভোটের মধ্যেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান চলছে। অন্যদিকে, তা নিয়ে তরজার পারদও সপ্তমে।