কলকাতা: বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগ দিলেন বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। আজই সুদীপ-ডেরেক-সুব্রতদের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত।


এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলে একজন মমতা যেমন আছেন, তেমন যশবন্ত সিন্হা এলেন। তৃণমূলে যোগ দিলেন যশবন্ত সিনহা। আমরা গর্বিত। তিনি শুধু বিহারের মানুষ না। তৃণমূল কংগ্রেসের পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকবেন। জ্ঞান-বুদ্ধির পাশাপাশি ওর বিনম্রতা আমাদের ভাল লাগে। আজ গৌরবময় দিনের একটি।  গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন নন্দীগ্রামে। তাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারলেন না। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতবার কঠিন পরিস্থিতি এসেছে ততবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজও ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে তাঁদের। যশবন্ত সিনহার তৃণমূলে যোগদান ইতিবাচক হবে।


বাজপেয়ী সরকারের আমলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। এর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তিনি। কিনি অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের নেতাদের বিজেপি ভাঙিয়ে আনছে। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচনের পরেও এক দফার জন্য প্রস্তুত থাকুন। তাই এই সময় অন্য কিছু নয়, এখন সময়ের দাবি বিপুল ভোটে জিতে আসুক তৃণমূল।


এদিন সাংবাদিক বৈঠকে যশবন্ত সিনহা বলেন,  অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানা এবং নরেন্দ্র মোদির জমানার পার্থক্য। তিনি বলেন, “অটলজীর দল আর এখনকার বিজেপির আকাশপাতাল তফাত। অটলজী সবাইকে নিয়ে চলতেন। আজকের বিজেপি সবাইকে পদানত করতে চায়। বিজেপিকে ছেড়েছে অকালি দল, শিবসেনা, বিজেডি। পুরনো সাথীদের মধ্যে একমাত্র নীতীশ কুমার আছেন। সবাই চলে গিয়েছেন, কারণ বিজেপির সঙ্গে চলা যায় না। মমতাজী (Mamata Banerjee), আমি অটলজীর সরকারে ছিলাম। কান্দাহারে বিমানকে বাঁচাতে নিতে পণবন্দি হতে রাজি ছিলেন মমতা। মোদি-শাহ দিল্লি থেকে যা করছেন, তা দেশবাসী বরদাস্ত করবে না। শুধু বাংলায় নয়, দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে এই ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪-এ পরিবর্তনের সূচনা হবে বাংলা থেকে।”