কলকাতা: আজ রাজ্য বিধানসভার অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। এই দফার ভোট শেষ হলেই ইভিএম-বন্দি হয়ে যাবে ২৯৪ আসনে প্রার্থীদের ভাগ্য। আগামী ২ মে ভোটগণনা। এবার নজিরবিহীন আট দফায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয় ২৭ মার্চ। প্রায় একমাসেও বেশি সময় ধরে চলেছে ভোট গ্রহণ। ভোট গণনার আগে আজ অষ্টম দফার ভোটের পর বুথফেরত সমীক্ষা। কাদের দখলে নবান্ন? দেশের নজর দোসরা মে-তে। বিধানসভার দৌড়ে এগিয়ে কে? কী বলছে সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা? কী ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্যান্য EXIT POLL? বাংলার বিধান, সন্ধে ৬ টা থেকে।
তার আগে জেনে নেওয়া যাক, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।
২০১৬-তে ২১১ আসন জিতে শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের।
২০১১-র মতো ২০১৬-তেও ছয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথম দফার ভোট দুটি ভাগে বিভক্ত করে নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রথম দফার প্রথম পর্বে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। ভোট গণনা হয়েছিল ১৯ মে।
২০১১-র নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৬-তে ২১১ আসনে পেয়ে একক শক্তিতে ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল। তাদের সঙ্গে ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারা পেয়েছিল ৩ আসন। ২০১৬-তে বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। তাদের ঝুলিতে গিয়েছিল ৭৭ আসন। নির্দল ৩ ও বিজেপি ৩ আসনে জয়ী হয়েছিল।
২০১১-র বিধানসভা ভোটের তুলনায় ২৭ আসন বেশি পেয়েছিল তৃণমূল। ২৯৩ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ২১১ আসনে।
কংগ্রেস ৯২ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ৪৪ আসনে। সিপিএম ১৪৮ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২৬ আসন। ফরোয়ার্ড ব্লক ২৫ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২ আসন। আরএসপি ১৯ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ৩ আসন। সিপিআই ১১ আসনে লড়েছিল। পেয়েছিল ১ টি আসন।
তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৪.৯১ শতাংশ। সিপিএম ১৯.৭৫, ফরোয়ার্ড ব্লক ২.৮২, আরএসপি ১.৬৭, সিপিআই ১.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ১২.২৫ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১০.১৬ শতাংশ ভোট।