কলকাতা: মানিকতলা বিধানসভার নারকেলডাঙা মেন রোডে ভোটারদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। জওয়ানদের লাঠির বাড়িতে এক মহিলা হাতে চোট পান বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যান মানিকতলা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে।



মানিকতলায় ফের বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ। ১৬৭ নম্বর বুথে কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে বিক্ষোভ। কল্যাণ চৌবে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁকে ঘিরে কেন বারবার বিক্ষোভ? কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘‘ভিতরে বিজেপির মহিলা এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হয়। আমি গেলে আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়। আমাকে 'লাইফ থ্রেট' দেওয়া হয়। আমি প্রাণহানির আশঙ্কা বোধ করছি ৷’’ অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কল্যাণ এসেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। 


এদিকে মহাজাতি সদনের সামনে 'বোমাবাজি'-র ঘটনায় প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের। 'বোমা নয়, দুটো নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটেছে। দুটি বড় ধরনের চকোলেট বোমা ফেটেছে', এমনটাই জানাল কমিশন। 


বৃহস্পতিবার ভোটের দিন কলকাতায় দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ৷ জোড়াসাঁকো বিধানসভা এলাকায় বোমাবাজি হয় সকালে ৷ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের পর রবীন্দ্র সরণিতেও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ৷ বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ৷


জোড়াসাঁকো বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তর অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে এসে বোমা ছোড়ে। সংখ্যালঘু এলাকার ভোটারদের ভয় দেখাতেই বোমাবাজি বলে তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ। 


এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মহাজাতি সদনের কাছে রাস্তার পাশে বোমাবাজি হয়। রাস্তায় বোমার দাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে এসে বোমা ছোড়ে। তবে কে বা কারা বোমা ছুড়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এলাকায় প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তারা ৷


জোড়াসাঁকোর বিজেপি প্রার্থী মিনাদেবী পুরোহিতের দাবি, যেখানে বোমাবাজি হয়েছে, কিছুক্ষণ পরেই সেখানে আসার কথা ছিল তাঁর। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই বোমাবাজি করা হয়েছে। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তর অভিযোগ, সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখাতেই বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়েছে।