কলকাতা: করোনা সংক্রান্ত মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। এই মামলার শুনানিতে তাঁর পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যথেষ্ট সভা ও র্যালি হয়েছে।এবার মানুষকে বিচার করতে দিন’।
উল্লেখ্য, সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও আশঙ্কার ঘনিয়েছে ক্রমবর্দ্ধমান সংক্রমণ ঘিরে। রাজনৈতিক প্রচার-মিছিল-সমাবেশে জন সমাগম নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, ‘করোনা বিধি মেনে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট করানোর জন্য সব পদক্ষেপ নেবে কমিশন। কমিশনকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
এই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘আদর্শ আচরণবিধি লাগু হলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তাই পুরোটাই এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’
এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, ‘কেন রাজ্যের এখন কিছু করার নেই বা তারা করতে পারবে না,আগামী বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা করে তা জানাতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কলকাতা শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভোট প্রচার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলাতেও যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। তবে ২৬ এপ্রিল একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন মমতা।
বামেরা ইতিমধ্যেই প্রচারে বড় সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী এ রাজ্যে তাঁর যাবতীয় সভা বাতিল করেছে।
বড় জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপিও। পরিবর্তে আগামী দফাগুলিতে ছোটো ছোটো সভা করা হবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেখানে পাঁচশো জন মতো জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে।
এরইমধ্যে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হয় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়ে একটি চিঠি জমা দেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।