রুমা পাল ও সুমন ঘড়াই, কলকাতা: এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জাভেদ শামিমকে৷ নতুন পদে যোগ দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই অপসারিত হলেন এই আইপিএস অফিসার। নির্বাচন কমিশনের প্রথম কোপ পড়ল জাভেদ শামিমের উপর। জাভেদ শামিমের জায়গায় এডিজি আইনশৃঙ্খলা হলেন জগমোহন ৷ দমকলের ডিজি ছিলেন জগমোহন, তাঁর জায়গায় এলেন জাভেদ শামিম। শনিবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে একাধিক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হন বিজেপির প্রতিনিধিরা।


তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এর কিছু পরেই জাভিদ শামিমকে অপসারণের কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্রের দাবি, দায়িত্ব নেওয়ার পরই জগমোহনের কাছে ফুলবাগানে বিজেপির রথে হামলার রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ভোট ঘোষণার পরপরই জাভেদ শামিমের অপসারণে রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘‘নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা উচিত নির্বাচন কমিশনের, কোনও দলের রিপোর্ট বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পদক্ষেপ উচিত নয়, নিরপেক্ষ হলে ৮ দফায় ভোট হত না রাজ্যে ৷


জাভেদ শামিমকে অপসারণের সিদ্ধান্তে কার্যত উল্লসিত বিজেপি। অবাধ ভোটের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘অবাধ ভোটের জন্য কমিশন যা করবে মেনে নিতে হবে। সরিয়ে দেওয়ায় সৌগত রায়দের  রাগের কী আছে। বেশ কিছু অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস, আইএএসদের রাখা হয়েছে। সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের কী দরকার, কী উদ্দেশ্যে তাঁদের রাখা হচ্ছে ৷’’ বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কাকে সরাবে সেটা কমিশনের ব্যাপার, মানুষ যাতে ঠিক মতো ভোট দিতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷’’


উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞানবন্ত সিংহের জায়গায় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে আনা হয় জাভেদ শামিমকে। একুশ দিনেই মধ্যেই সরতে হল এই আইপিএস অফিসারকে। আইপিএস মহলের একাংশের বক্তব্য, যে পদে শামিমকে পাঠানো হল সেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজের যোগ নেই।