কলকাতা: ভোটের ঠিক আগে অপসারিত মহিষাদলের সিআই। হলদিয়ার এসডিপিও-কেও সরাল নির্বাচন কমিশন। বিচিত্রবিকাশ রায়ের জায়গায় মহিষাদেলের নতুন সিআই শীর্ষেন্দু দাস। বরুণ বৈদ্যের জায়গায় হলদিয়ার নতুন এসডিপিও উত্তম মিত্র। ভোটের কাজে পক্ষপাতের অভিযোগে অপসারিত। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না ২ পুলিশ অফিসার। পাশাপাশি বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অপসারিত বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানি।


গত সপ্তাহে ভোটের মুখে রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিষ্ক্রিয় করে রাজ্য সরকার। পদে থাকলেও সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, ভোট পর্বে কোনও ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব। গত শনিবার থেকে শুরু হয় রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে, নিষ্ক্রিয় করা হল রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। তবে নির্বাচন কমিশন নয়, নিরাপত্তা উপদেষ্টার ক্ষমতা খর্ব করে রাজ্য সরকারই।


গত বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন,পদে থাকলেও, ভোটের সময় ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা। এর আগে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।বিরোধীদের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে  ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট ঘোষণার দিনই এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ৯ মার্চ একই কারণে অপসারিত হন ডিজিপি। রাজ্য পুলিশের দুই শীর্ষ কর্তাকে অপসারণের পর, নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। এরপরই ভোটে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে ‘নিষ্ক্রিয়’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যই।


১৯৮৫-র পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ২০১৮-র ৩১ মে ডিজিপি পদ থেকে অবসর নেন। এরপর ওই বছরেরই ১ জুন থেকে রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনী। তাঁকে নিষ্ক্রিয় করা নিয়ে তরজায় জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি।