কলকাতা: গতকাল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবার নজর ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনের দিকে। এই আসনেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর হাইভোল্টেজ লড়াই। গতকালই বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে বলেছিলেন, 'বেগম হারছে, বিকাশ জিতছে'। 



এরপর গতকাল রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিতে দাবি করেছিলেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি জিতবে। তিনি বলেছিলেন, 'দিদির মুখের দিকে দেখুন। তা হলেই সব বুঝে যাবেন। দিদিই ওপিনিয়ন পোল, দিদিই এক্সিট পোল। ওঁর চোখ-মুখ, হাব-ভাবেই সব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে'।



অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছিলেন, 'নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই আমি। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে'।



প্রথম দফার ভোটের পর অমিত শাহ বলেছিলেন, ৩০-এর মধ্যে ২৬ টিতে বিজেপি জিতবে। এদিন উত্তরবঙ্গের জনসভাতে অমিত শাহ দাবি করেছেন, প্রথম দুই দফায় যে ৬০ আসনে ভোট হয়েছে, সেগুলির মধ্যে ৫০ টিতে জিতবে বিজেপি। 



এদিন নন্দীগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচারে এসে বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রাম থেকে তিনি ভালোভাবেই জিতবেন। কিন্তু  তিনি একা জিতলেই হবে না। তৃণমূলের বাকি প্রার্থীদেরও জেতাতে হবে। 



তৃণমূল নেত্রীর দাবি, প্রথম দুটি দফায় তৃণমূলের পক্ষে খুব ভালো ভোট হয়েছে।  বাংলায় তৃণমূলই ক্ষমতায় আসছে, অন্য কেউ নয়। বিজেপি নেতাদের দাবি উড়িয়ে মমতা বলেছেন, 'নন্দীগ্রামে আমি ভালোভাবেই জিতছি। ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে বিজেপি'। 



গতকাল নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে বসে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে গুণ্ডা এসেছে। তাদের রক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন। 



এদিনও উত্তরবঙ্গের সভা থেকে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বহিরাগত গুন্ডা ঢুকিয়ে ভোটে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিজেপি। সব জেনেও কমিশন চুপ কেন? অমিত শাহর নির্দেশেই কাজ করছে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। 



এর আগেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে এক জনসভায় তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির মুখপাত্রের মতো কাজ করছে কমিশন। তাদের কথামতোই কাজ করছে কমিশন।