কলকাতা: একদিনে লক্ষ লক্ষ আক্রান্ত। হাজার হাজার মৃত। সার সার দেওয়া দেহ। শ্মশানের চুল্লি থেকে অনবরত বেরোচ্ছে ধোঁয়া। সর্বনাশা করোনায় ছারখার চারদিক।
কিন্তু, এরমধ্যেই চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সাজো সাজো রবে ভোট হয়েছে। হেভিওয়েট নেতাদের রমরমিয়ে প্রচার চলেছে। বাংলাতেও প্রচারে ঝড় উঠেছে। ষষ্ঠ দফা শেষ হয়েছে । এখনও বাকি আরও দু’দফা। আর তাতে করোনা বিধি মানা হয়েছে কি না? প্রশ্নটাই অবান্তর!
এক্ষেত্রে সব দলেরই এক অবস্থা।বৃহস্পতিবার আসানসোলের সেনর্যালে স্টেডিয়ামে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা ইস্যুতে নিশানা করেন মোদি সরকারকে!!!! কিন্তু, তার ভাষণ শুনতে আসাদের অনেকের মধ্যেই করোনা নিয়ে কোনও সচেতনা চোখে পড়ল না। কারোর মাস্কই নেই...।
কারোর মাস্ক থুতনিতে! কেউ আবার ক্যামেরা দেখার পর মাস্ক পরলেন! একজন তো মাস্ক না থাকায়, ক্যামেরা দেখে দলের পতাকা মুখে জড়িয়ে নিলেন...আর দূরত্ববিধি? নৈব নৈব চ...
শুধু তৃণমূল নয়, একই ছবি ধরা পড়েছে বিজেপির সভাতেও। এদিন মালদার গাজোলে সভা থাকলেও, সেখানে পৌঁছতে পারেননি অমিত শাহ। তাঁর জায়গায় সভা করেন সায়ন্তন বসুরা । বিজেপির দাবি, সভায় না কি ৫০০ জনের মধ্যে উপস্থিতি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর বাস্তবে উপস্থিতির ছবিটা অন্যরকম।
যথারীতি অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক...। কারও মাস্কই নেই। কারও আছে, তবে থুতনিতে। বলছেন, কোনওভাবে নেমে গেছে, এই তো তুলে নিলাম, ভুল হয়ে গেছে। খোদ মালদা বিজেপির সভাপতিরই মাস্ক থুতনিতে!! বিজেপি নেতা সায়ন্আতন বসু বলছেন, আমরা সভায় বেশি লোক আনার জন্য চেষ্টা করেছি, এখন কম লোক আনার জন্য চেষ্টা করতে হচ্ছে, তারপরও কিছু লোক বেশি হয়ে গেছে।
সভা-সমাবেশ হবে! আবার তাতে না কি করোনা বিধিও মানা হবে! এ তো সোনার পাথরবাটি! আর এই নৈরাজ্যের সুযোগে করোনার ভয়ঙ্কর রমরমা।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আগামী সব সভা বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বঙ্গসফর বাতিল করেছেন মোদিও। ইলেকশন কমিশনও ষষ্ঠ দফার শেষে সভা-সমিতি নিয়ে কড়া হয়েছে। এতে কি করোনার বাড়বাড়ন্তে লাগাম পড়বে ?