প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: ভোটের দিন পুলিশের পোশাকে বহিরাগতদের দিয়ে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা করানোর অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সরগরম বাঁকুড়ার বড়জোড়ার পক্ষন্না গ্রাম। বিজেপির অভিযোগ, বড়জোড়ার তৃণমূল প্রার্থীর মদতেই পুলিশের পোশাকে গ্রামবাসীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।


পুলিশের পোশাকে বহিরাগতদের ‘হামলা’ ৷ ঘরে ঘরে ঢুকে গ্রামবাসীদের ‘মার’ তৃণমূল প্রার্থীর মদতেই হামলা, অভিযোগে সরব বিজেপি ৷ ভোটের দিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় ৷ চটি পুলিশ থেকে পুলিশের পোশাকে বহিরাগত গুন্ডা, একের পর এক বিতর্কে শুরু থেকেই গরম হয়েছিল নন্দীগ্রাম। ঠাকুরচকের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সময় বাপ-ব্যাটাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন বিজেপিতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। সেদিন ওরা সিপিএমকে ডেকে এনেছিল। সিপিএমের ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে গুলি চালিয়েছিল। আজও তাই করছে। পুলিশের ড্রেস কিনে ক্যাডারদের সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে, বলছে বিজেপিকো ভোট দো।' এর পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বেগমকে ভোট দিলে মিনি পাকিস্তান হবে, যোগীজি যেমন সব সিধে করেছিলেন উত্তর প্রদেশে, তেমনিই করব ৷’’


পুলিশের পোশাকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস বিতর্ক এবার আছড়ে পড়ল বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফা ভোটের মধ্যেই পুলিশের পোশাকে বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে হামলা চালানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বড়জোড়ার পক্ষন্না গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী অলক মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পেটানো হয়েছে ভোটারদের। 


অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে যারা গ্রামবাসীদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল, তাদের কারও কাছে সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না ৷ কাঠের বাট নিয়ে চড়াও হয়েছিল তারা ৷ পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে পক্ষন্না গ্রামে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁর মদতে পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বড়জোড়ার তৃণমূল প্রার্থী। সব মিলিয়ে বাংলার ভোটে হিংসা, অভিযোগ, আর পাল্টা অভিযোগের বিরাম নেই। প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফাতেও বজায় রইল সেই ট্র্যাডিশন।