জয়দীপ হালদার ও অভিজিৎ চৌধুরী: হাইভোল্টেজ প্রথম দফা নির্বাচনের আগে হাতে আর এক সপ্তাহও নেই। চড়ছে রাজনীতির পারদ। আর ঠিক তার আগে শেষ রবিবারকে নষ্ট করল না কোনও পক্ষই। রবিবাসরীয় সকালে জমজমাট কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, শমীক ভট্টাচার্যদের ভোট প্রচার।
বিধানসভায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তিন জনেরই। কেউ সামলেছেন মন্ত্রীর দায়িত্বও। কিন্তু শেষ বিধানসভা ভোটে জয়ের মুখ দেখতে পাননি। ২১-এর লড়াইয়ে ফের ভোটের ময়দানে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, শমীক ভট্টাচার্যরা।
এবছর ফের রায়দিঘি থেকে ভোটে লড়ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সংযুক্ত মোর্চার তরফে তাঁকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। রবিবাসরীয় সকালে কাশীনগর এলাকায় কখনও হেঁটে, কখনও দলীয় কর্মীর মোটরবাইকে চড়ে প্রচার করলেন রায়দিঘি কেন্দ্রের ২ বারের বিধায়ক। স্থানীয়দের সঙ্গে গল্পের ফাঁকে সেরে নেন পথসভাও। ২১-এর ভোটে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে তাঁর দল। এদিন কেষ্টপুরের লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে, ভিআইপি বাজার থেকে কেষ্টপুর মিশন বাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রা করেন তিনি।
পথচলতি মানুষ, অটো-বাস-রিকশর যাত্রীদের কাছে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান বিজেপি প্রার্থী। মালদার ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদিন কৃষক বাজারে গিয়ে প্রচার সারেন তিনি। মালদা শহরের এই পাইকারী বাজারে যাতায়াত করেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা।
বাংলায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার চাইছে বিজেপি। মোদি-অমিত শাহদের এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ঘাসফুল-পদ্ম, দুইকে উপড়ে ফেলতেই একজোট হয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। ২১-এর হাইভোল্টেজ ভোটে তাই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন সব দলের প্রার্থীরাই।
অন্যদিকে, রবিবার সকালে আনন্দময়ীতলায় পুজো দিয়ে, কৃষ্ণনগর নতুনবাজার এলাকায় পদযাত্রা করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। হুগলির চণ্ডীতলায় ছোট দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, সোনারপুর দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অঞ্জনা বসু। রবিবার সকালে ভোট প্রচারে শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি।