ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: দলীয় সভা হোক কী, বিতর্ক সভা। বক্তা হিসেবে তাঁর বড় দর। তবে এবার বাগযুদ্ধে অন্যকে পরাস্ত করা নয়, ফের বিধানসভায় যাওয়াই তাঁর এখন লক্ষ্য। আর তাই সকাল-বিকেল এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য।


তিনি রাজ্য রাজনীতির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। সুবক্তা হিসেবেও বেশ নামডাক। সুক্ষ্ম রসবোধের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এটাই  র ইউএসপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র আবারও ভোটের ময়দানে। এবার তাঁর কেন্দ্র রাজারহাট-গোপালপুর। ৫ মার্চ দিল্লি থেকে নাম ঘোষণা হতেই শুরু করে দিয়েছেন প্রচার। অলি-গলিতে প্রচার, ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন ছোট ছোট গ্রুপ মিটিং---জনসংযোগ নিবিড় করতে সবকিছুই চলছে সমানতালে। 


পোড় খাওয়া এই নেতার অবশ্য ইতিমধ্যেই বিধায়ক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৪-তে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে হারিয়ে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক হন শমীক ভট্টাচার্য।


 



 


১৯৯৯ সালে উপনির্বাচনে অশোকনগর বিধানসভা থেকে বাদল ভট্টাচার্য জেতার পর, শমীকই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে ষোলোর নির্বাচনে দীপেন্দুর কাছেই হার স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁকে। মাত্র দু’বছর বিধায়ক ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। তারমধ্যেই বক্তা হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কেন্দ্র বদলে এবার প্রার্থী হয়েছেন রাজারহাট-গোপালপুর থেকে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণেন্দু বসু। কিন্তু, তিন বছর পর ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উল্টে যায় হিসেব। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই আসনে ৭৪৩ ভোটে এগিয়ে যায় বিজেপি। লোকসভা ভোটে সৌগত রায়ের কাছে হারলেও, বিধানসভাভিত্তিক ফলে রাজারহাট-গোপালপুরে এগিয়ে শমীক ভট্টাচার্য। আর লোকসভা ভোটের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করেই তাঁর আশা, এবার আর নিরাশ হতে হবে না তাঁকে।


পথে-ঘাটে চলছে প্রচার। ফুরসৎ পেলে একটু জিরিয়ে নেওয়া। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে করতেই খাওয়া। এটাও যেন প্রচারের অংশ। বিজেপি প্রার্থীর লড়াই তৃণমূলের সঙ্গীতশিল্পী প্রার্থী অদিতি মুন্সী আর সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী শুভজিৎ দাশগুপ্ত সঙ্গে। পরীক্ষা ১৭ এপ্রিল, আর রেজাল্ট আউট ২ মে।