কলকাতা:  বিধানসভা এলাকার ভোটার হলেই করা যাবে পোলিং এজেন্ট। বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের। চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচন কমিশনের বিধি বদল করিয়েছে বিজেপি। অডিও ক্লিপ শুনিয়ে দাবি কুণাল ঘোষের। যে দাবি খারিজ করল গেরুয়া শিবির। 


দুই শাসকের দুই অডিও টেপ ঘিরে তোলপাড় বঙ্গ ভোটের প্রথম দফা! অডিও টেপের পাল্টা অডিও টেপ। বিজেপির পাল্টা তৃণমূল। প্রথমে বিজেপি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করে, পরাজয়ের আঁচ পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে ফোন করে, তাঁকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেন!


তারই পাল্টা আরেকটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে তৃণমূলের দাবি, টেলিফোনে এই কথপোকথন হচ্ছে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং আরেক বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার মধ্যে! যেখানে মুকুল কার্যত স্বীকার করছেন, রাজ্যে সব বুথে এজেন্ট বসানোর লোক তাঁদের নেই।


 



 


তৃণমূলের দাবি, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই, নির্বাচন কমিশন এরপর নিয়ম পাল্টে ফেলে। এতদিন নিয়ম ছিল, যে কোনও রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট হতে গেলে ওই বুথ এলাকা কিংবা পাশের বুথের বাসিন্দা হতে হয়। তবে এবার সেই নিয়মে পাল্টে নির্বাচন কমিশন করে, এবার থেকে পোলিং এজেন্ট হতে গেলে কোনও নির্দিষ্ট বুথের নয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা হলেই হবে।


সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আগে নিয়ম ছিল যে বুথের ভোটার, সেই বুথেই এজেন্ট হতে পারবেন। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা অনুযায়ী চলে, তাদের সুবিধা করে দিতেই সিদ্ধান্ত পাল্টে করল যে, অন্য বুথের ভোটারও সেই বুথের এজেন্ট হতে পারবেন। নইলে বিজেপি সব জায়গায় এজেন্ট দিতে পারত না। এবার ওরা বিহার থেকেও লোক এনে এজেন্ট করে দেবে। 


তিনি যোগ করেন, এটা করার আগে কমিশনের উচিত ছিল সমস্ত দলের সঙ্গে বৈঠকে বসা। এটা বিজেপি নিজেদের স্বার্থের জন্য এই কাজ করেছিল। যার ফলে গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাই আমাদের তরফে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে যাতে বাইরের লোকজন বুথে যেন বসতে না পারে।



তৃণমূল নেতার কথায়, শব্দটাই হল বুথ এজেন্ট। আমরা কোনও দিন দেখিনি বুথ এজেন্ট বাইরে থেকে করার ব্যবস্থা রাখা হয়। সংকীর্ণ স্বার্থরক্ষার এত নেকেড ব্যবস্থা আর কিছু হতে পারে না। আমরা জানি বুথে লোক দেওয়ার ক্ষমতা বিজেপির ক্ষমতা নেই। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের বাইরে থেকে আনতে হবে। বিহার থেকে বুথ এজেন্ট আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেব। আমর বিষয়টিকে সহজভাবে নিচ্ছি না। 


কিন্তু, এই অডিও ক্লিপে যে দু’জনের মধ্যে কথা হচ্ছে বলে তৃণমূল দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে একজন মুকুল রায় দাবি করছেন, অডিও ক্লিপটি ভুয়ো! আবার বিজেপিরই আরেক নেতা শিশির বাজোরিয়া দাবি করছেন, অডিও ক্লিপটি একদমই খাঁটি! কিন্তু, কথপোকথনের মধ্যে অন্যায় কিছু নেই।