মোহন দাস, হুগলি- ভোটের মুখে হুগলির খানাকুলে তৃণমূলের বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যু। নদী থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। আর ভোটের মুখে তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপিকে নিশানা করে শাসক দলের দাবি, খুন করা হয়েছে বুথ সভাপতিকে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
একুশের মহারণ বিধানসভা নির্বাচনে ফের আরও এক মৃত্যুর ঘটনা। ভোটের জন্য দলের কাজ করতে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, একদিন পর, বুধবার বেলায় নদী থেকে উদ্ধার হল তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ। হুগলির খানাকুলের হরিশচকের বুথ সভাপতি নুসুর আনোয়ারের ৷
কীভাবে মৃত্যু হল? তা নিয়েই দানা বেঁধেছে ঘোর রহস্য। তবে একে সরাসরি খুন বলেই দাবি করেছে শাসক দল। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় নুসুরকে ফোন করা হয়। কিন্তু, তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ির কাছে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে তৃণমূলের বুথ সভাপতির মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
পরিবারের দাবি, তাঁর দু’চোখের পাশে রক্তের দাগ দেখা যায়। মুখের ওপরে জমাট বাঁধা ছিল রক্ত। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় বিজেপিকে তোপ দেগে খুনের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। খানাকুলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুন্সি নাজবুল করিম বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করেছি ওসিকে যে বাইরে থেকে লোকজন ঢুকেছে, উনি গুরুত্ব দেননি, তারপর এই ঘটনা, ওসি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, বুথ সভাপতিকে খুন করা হয়েছে ৷’’ তবে, তৃণমূল নেতার মৃত্যুর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। খানাকুলের বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা শুনেছি, প্রশাসন পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক কী ঘটনা ঘটেছে ৷’’ ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় খানাকুলে ভোটগ্রহণ হবে।