বারাসাত: ভোটের মুখে এবার মহিলাদের পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি মহিলাদের পোশাক নিয়ে সচেতন থাকার কথা বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোথায় মহিলারা কী পরবেন তা পরিস্থিতির দেখে ঠিক করতে বলেছেন তিনি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।


ঠিক কী বলেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী?


বারাসাতের বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত্‍ চক্রবর্তীর কথায়, মহিলাদের পোশাক নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, সেই মেনেই পোশাক পরতে হবে। শ্রাদ্ধ বাড়ির পোশাক, আর ভিড় ট্রেনে ওঠার পোশাক। কোথায় কী পরবেন, পরিস্থিতি দেখে ঠিক করতে হবে। নারী-সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফের বিতর্কিত চিরঞ্জিত। শুধু তাই নয়,  রাজ্যে মহিলাদের যথেষ্ট সুরক্ষা আছে বলে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি। 


যদিও এই প্রথম নয়। দিনকয়েক আগেও বির্তর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সরকারি দফতরে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বারাসাতের তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় কমিশনে অভিযোগ জানায় ফরওয়ার্ড ব্লক। তারই প্রেক্ষিতে বারাসাত পুরসভাকে শোকজ লেটার পাঠায় রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক।


নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হয় ফরওয়ার্ড ব্লক। কমিশনে অভিযোগ জানান, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। এরই প্রেক্ষিতে, বারাসাত পুরসভার প্রশাসককে শো-কজ লেটার পাঠান  রিটার্নিং অফিসার তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। যদিও পুরসভার প্রশাসকের দাবি করেন, এমএলএ ল্যাডের টাকার হিসেব নিতেই পুরসভায় গিয়েছিলেন চিরঞ্জিত্‍। বারাসাত পুরসভায় বৈঠক করেন চিরঞ্জিত্‍ চক্রবর্তী। সেদিনই তিনি দাবি করেন, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। বারাসাতের তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেতা ও প্রার্থী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নমিনেশন জমা দিইনি। এটাকে নির্বাচন বিধি বলে না।’


আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় বারাসাত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। ২০১১ ও ২০১৬, গত দু বছরই এখান থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন চিরঞ্জিত্‍ চক্রবর্তী। নির্বাচন ঘোষণার আগে ভোটে দাঁড়াতে চান না বলে জানিয়েছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তবে তৃতীয়বার বারাসাত কেন্দ্র থেকেই তাঁকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।