সনৎ ঝা, দার্জিলিং: সামনেই মরণ-বাঁচন ম্যাচ। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে বাড়ি ভাড়া নিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক তথা পর্যটনমন্ত্রীর দাবি, আরও বেশি জনসংযোগ এবং কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেই বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। ভয় পেয়েছেন মন্ত্রীমশাই। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


 


এবার লড়াই হবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। গত ২৯ জানুয়ারি কালীঘাটে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ কোর কমিটির বৈঠকে দলের সদস্যদের সামনে স্পষ্ট করে দেন তৃণমূলনেত্রী ৷ মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াইয়ের সেই প্রস্তুতি দেখা গেল ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোটযুদ্ধের দিকে তাকিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে আস্ত একখানা তিনতলা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী তথা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দেব। ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত শান্তিনগর পাড়ার এই বাড়িই আগামী কয়েক মাসের জন্য হতে চলেছে তাঁর ওয়াররুম।


 


২০১৯ এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা আসনে তৃণমূলের চেয়ে ৮৬ হাজার ১১৭ ভোটে এগিয়ে বিজেপি ৷ পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা ভোটের কোনও মিলই হয় না। লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। জনসংযোগ বাড়াতে এবং কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেই বাড়ি ভাড়া নিয়েছি ৷’’


 


বিজেপি যদিও বিষয়টিকে এত সহজ ভাবে নিতে নারাজ। জলপাইগুড়ির বিজেপি সহ সভানেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘অনেক দিন আগে থেকেই জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন মন্ত্রী। ভয় দেখিয়ে বা দুয়ারে সরকার করে কি আর ভোট পাওয়া যায়। বিজেপি লোকসভায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে এগিয়ে বলেই ভয় পেয়েছেন তিনি। তাই বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন ৷’’


 


ভক্তিনগরের যে পাড়ায় গৌতম দেব ভোটের কাজকর্মের জন্য আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন, তার থেকে ১০ মিনিট গাড়িতে গেলেই, তাঁর নিজের বাড়ি। কিন্তু শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়ার ওই বাড়ি শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সূচাগ্র মেদিনীর লড়াইয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রই এখন গৌতম দেবের নিজভূম। বৃহস্পতিবার ভাড়া বাড়িতে শিফট করেছেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। ওই বাড়িতেই এখন তৃণমূলের অস্থায়ী কার্যালয়। অর্থাৎ লড়াই এবং লড়াইয়ে নেতৃত্ব, দুই দায়িত্বই তাঁর কাঁধে।