নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম দিবস পালনকে কেন্দ্র করে সোনাচূড়ার শহিদ মিনারের সামনে উত্তেজনা। শুভেন্দু অধিকারীর পৌঁছনোর আগে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনী, র্যাফ ও পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে এদিন নন্দীগ্রাম দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শহিদ মিনারের সামনে গেটে পৌঁছয় বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেখানে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। সেই সময় উল্টো দিক থেকে তৃণমূলের মিছিল শহিদ মিনার দিকে আসে। সেই সময় এগিয়ে বাধা দেয় পুলিশ। তৃণমূলের একাংশের দাবি এই শহিদ বেদী তৈরির জন্য জমি দিয়েছি আমরা। সেখান আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নাম না তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, ওঁকে জবাব দিতে হবে কেন এই কাজ করলেন। ঘটনা ঘিরে তৃণমূল বিজেপির হাতাহাতি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রামে ১৪ জন শহিদ হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে যে দল আছে, কষ্ট হলেও তাঁদের সঙ্গে ছিলাম। সেই সময় পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গুলি চলেছিল। সেই সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে। তাঁকে পতাকা ধরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বাসঘাতক, মিরাজফর কে? যে দাঁড়িয়ে গুলি করলেন তাঁকে পতাকা ধরালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আগেও কেউ আসেনি। আগামীদিনেও আসবে না। গড় চক্রবেরিয়ার, ভূতামোড়ের দুষ্কৃতী দিয়ে যদি মনে করেন নন্দীগ্রামে অশান্তি তৈরি করবে তাহলে তা হবে না। ভোট এবারে হবে। নতুন ভোট দেখবেন আপনারা।
শুভেন্দু বলেন, ঘটনার দিন ঢুকতে পারিনি। পরের দিন এসেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ১৫ মার্চ এসেছিলেন। কে ঢুকিয়েছিলেন জানেন? লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। সিপিএমের অবরোধ ছিল। শেষ গেটটা খুলেছিল বিজেপি। যাঁরা সত্যজিৎকে পতাকা দিয়েছে, যাঁরা সিঙ্গুরকে সিলেবাসে দিয়েছে নন্দীগ্রামে পালনের অধিকার নেই। পাল্টা নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারীকে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান।